পথরেখা অনলাইন : ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানী ছেড়েছে বেশিরভাগ মানুষ। খালি হয়ে গেছে প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি পর্যন্ত। নেই মানুষের কোলাহল, চিরচেনা রূপ। তবে এই সময় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার উদ্ভব না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো ঢাকাকে নজরদারির আওতায় এনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের আগে ঈদ, ঈদ পরবর্তী সময়কে পরিকল্পনা করে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রাজধানীর প্রতিটি থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) নিজ নিজ এলাকার রাস্তাঘাট থেকে বাসা ও অলিগলি নজরদারি করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি সদর দপ্তর। তারই অংশ হিসেবে প্রতিটি এলাকার বাসার নিরাপত্তাকর্মীদের নাম-ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর নিয়ে রাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে পুলিশ।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান রোববার (১৬ জুন) জাতীয় ঈদগাহ নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, ঈদগাহ ময়দানসহ পুরো রাজধানীতে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য পার্কিং ও ডাইভারসন থাকবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পেট্রলিং, সিসিটিভি ক্যামেরা মনিটরিংসহ নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের পেট্রোল টিম দায়িত্ব পালন করবে।
অন্যদিকে ফাঁকা ঢাকায় বাইক রাইডিংয়ের নামে কেউ যেন এই মরণ খেলায় মেতে না উঠেন সে অনুরোধ করেছে পুলিশ। অতীতে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এবার পুলিশের পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, যাতে কেউ রেসিং করতে না পারে। এছাড়া রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়, সড়কে রাতের বেলা র্যাব-পুলিশের চেকপোস্ট কাজ করছে।
র্যাবের মহাপরিচাল (ডিজি) ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। সবকিছু মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। র্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোব ডিসপোজাল ইউনিট সহ দুটি হেলিকপ্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেকোনো ধরনের নাশকতা হামলা প্রতিরোধ করতে যথাযথ নজরদারি করছে র্যাব।
পথরেখা/এআর