পথরেখা অনলাইন : বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) দুই উপ-পরিচালক, দুই সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির মুখপাত্র (মিডিয়া) পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার ও সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত ছিলেন। তারা একাধিক নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসেও জড়িত বলে জানা গেছে। তাদেরকে সিআইডি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক এস এম আলমগীর কবির ও নিখিল চন্দ্র রায়, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও সাজেদুল ইসলাম এবং সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী রয়েছেন।
আরও আছেন, সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, প্রিয়নাথ রায়, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম ও বেকার যুবক লিটন সরকার।
পিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই এই চক্রের সদস্যরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতেন। ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন তারা। চক্রের সদস্যরা ওই পরীক্ষার আগের রাতে তাদের চুক্তি করা শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতনামা স্থানে রেখে ওই প্রশ্নপত্র ও তার উত্তর দিয়ে দেন।
জিজ্ঞাসাবাদে পিএসসির অফিস সহায়ক গ্রেফতারকৃত সাজেদুল ইসলাম জানান, রেলওয়ের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নটি উপপরিচালক মো. আবু জাফরের কাছ থেকে তিনি নিয়েছিলেন। এর জন্য আবু জাফরকে তিনি দুই কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এর আগেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কক্ষের ট্রাংক খুলে তিনি প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে সেগুলো ফাঁস করেছেন। সেগুলোর মধ্যে বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রও রয়েছে।
পথরেখা/এআর