• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৩

সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারা প্রথম ব্যর্থতা

পথরেখা অনলাইন : ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ‘প্রথম ব্যর্থতা’ চিহ্নিত করার দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। তাঁর মতে, ব্যর্থতাটি হচ্ছে এখন পর্যন্ত আন্দোলন ঘিরে আহত ব্যক্তিদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত ও তাঁদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে না পারা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে এ ব্যাপারে দৃশ্যমান পদক্ষেপ আশা করেছেন তিনি।
 
১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর চানখাঁরপুলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ। এর আগে তিনি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আবদুল কাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলেন।
 
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘রেজিস্ট্যান্স উইক–এ আজ আমাদের কর্মসূচি ছিল স্ট্যান্ড উইথ দ্য ইনজুরড। এর অংশ হিসেবে আমাদের ঢাকাকেন্দ্রিক সমন্বয়কদের বিভিন্ন দলে ভাগ করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। আমি বেশ কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েছি। অনেক দিন ধরেই আমরা আহতদের কাছে গিয়েছি, তাঁদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিচ্ছি। কিন্তু আজকের দিনে এসে আহতদের যে পরিস্থিতি আমরা দেখেছি, সেটি নিদারুণ। আহতদের শরীরে বিদ্ধ বুলেটের যে ধরন, আমি মনে করি, এর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। আহতদের দেখতে গিয়ে আমরা হত্যাকাণ্ডের স্পষ্ট নিদর্শন দেখেছি।’
 
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে বেশ কিছুদিন হলো উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আজ ঢাকার হাসপাতালগুলোতে আমরা যে চিত্র দেখেছি এবং দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যে খবর পেয়েছি, এত দিন আহতদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে না পারা ও তাঁদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা করতে না পারাকে আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই।’
 
এই সরকারের শুরুতেই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘কিন্তু আজকের এই দিনে দাঁড়িয়েও আমরা শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ কোনো তালিকা পাইনি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত ছিল, যত দ্রুত সম্ভব আহতদের পাশে দাঁড়ানোর দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু সেটি আমরা দেখিনি। সে জন্য এই সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি আমরা নিন্দা জানাচ্ছি।’
 
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগের কারণেই আপনারা অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছেন। তাই আপনাদের প্রথম ও প্রধান কাজ হচ্ছে তাঁদের বিষয়টি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করা ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। আমরা আর বড় বড় গল্প শুনতে চাই না। এটা–সেটা করে ফেলব, শুনতে চাই না। আমরা দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে চাই। দেখতে চাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দৃশ্যমান কী পদক্ষেপ নেয়। এ পর্যন্ত যেহেতু দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, সেই জায়গা থেকে তাঁদের জবাবদিহির জায়গায় আনার সময় হয়েছে।’
 
সমন্বয়ক বা সহসমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ কোথাও কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধা চাইলে বা বিশেষ কোনো সম্পর্ক তৈরি করতে চাইলে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করার আহ্বান জানান হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিশেষ সুবিধা দাবি করার কোনো এজেন্সি বা লেজিটিমেসি নেই। শিক্ষার্থীদের জায়গা থেকে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, আমাদের কিন্তু কোনো অথরিটি নেই। শিক্ষার্থীরা যে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে, আমরা যে হাসপাতালগুলোতে ছুটে যাচ্ছি, বিভিন্নভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি—এগুলো স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ। এখানে আমাদের রাজনৈতিক বা আইনগত কোনো কর্তৃত্ব নেই। এই সরকারের কাজকে ত্বরান্বিত করার জন্য আমরা আমাদের জায়গা থেকে কাজ করছি।’
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।