পথরেখা অনলাইন : ১৮ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া নতুন সপ্তাহে যে কোনো ব্যাংকে চেকের মাধ্যমে নগদ ৩ লাখ টাকার বেশি টাকা তোলা যাবে না। গত সপ্তাহে নগদ তোলার সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগদ উত্তলনের সুযোগে আরো ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে নতুন সীমা ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চেকের মাধ্যমে টাকা তোলার ক্ষেত্রে বা কোনো লেনদেনে সন্দেহ হলে সেটি বন্ধ করতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অবশ্য চেকের মাধ্যমে ৩ লাখ টাকার বেশি তোলা না গেলেও ডিজিটাল লেনদেনে যে কোনো পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করার সুযোগ থাকছে। ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্তটি সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে অবহিত করা হয়েছে, সঙ্গে ‘নিরাপত্তার কারণ’ দেখিয়ে ব্যাংকগুলোকে এই নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
গণআন্দোলনের মুখে ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অন্যান্য খাতের মতো ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে সংস্কারের কথা বলছে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক লুটপাট, দুর্নীতি ও শেয়ারবাজারে কারসাজি করে অবৈধ উপায়ে বিপুল অর্থবৈভবের মালিকরা যেন টাকা পাচার করতে না পারে, সেদিকেও নজর রয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের। ৮ অগাস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর ব্যাংকিং লেনদেণে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ আসে। সেদিন থেকে ব্যাংক থেকে চেকের মাধ্যমে ১ লাখ টাকার বেশি তুলতে না দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। গত সপ্তাহের নির্দেশনায় ছিল দুই লাখ টাকা।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তারা ব্যাংক থেকে বেশি বেশি টাকা তোলা শুরু করেন। সে কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি বিভাগ নিয়ন্ত্রণমূলক এই নির্দেশনা দেয়। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যাংক লেনদেনে ‘অতিরিক্তি সতর্কতা’ অবলম্বন করতে সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে। ব্যাংকগুলোর প্রধান অর্থপাচার নিরোধ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করে নির্দেশনাটি দিয়ে রাখে বিএফআইইউ।
পথরেখা//আসো