• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩৮

কুমিল্লায় বন্যার পানি নামার পর ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন

  • সারাদেশ       
  • ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪       
  • ২০
  •       
  • ০২-০৯-২০২৪, ২২:০৪:৩৪

পথরেখা অনলাইন : জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হয়েছে। ধীরে ধীরে বন্যার পানি নামার পর ভেসে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। কুমিল্লা বন্যাকবলিত উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়কে কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।  বন্যকবলিত উপজেলাগুলো ঘুরে দেখা যায়, সড়ক ও জনপথ বিভাগের কুমিল্লা-বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া-মীরপুর সড়ক, রাজাপুর-শংকুচাইল সড়ক, লাকসাম, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রামের সড়ক ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বিভিন্ন গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সড়কগুলো ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত অনেক সড়ক যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে ওঠেছে। সড়কে তৈরি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এসব সড়ক দিয়ে যানবাহন ও মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।

এলজিইডি সূত্র জানা যায়, সাম্প্রতিক বন্যায় জেলার ১৪টি উপজেলার কয়েক হাজার কিলোমিটার পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে  সেতু ও কালভার্ট। এসব সড়ক ও সেতু মেরামত এবং পুননির্মাণে কয়েক হাজার কোটি টাকা প্রয়োজন। টাকার অংকে ক্ষতির পরিমাণ এখনো জানা যায়নি। কারণ বিভিন্ন জায়গায় সড়কের ওপর এখনো পানি। তবে সম্পূর্ণভাবে পানি নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে। লাকসাম, নাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম, বুড়িচং, ব্রাক্ষনপাড়া উপজেলার গ্রামীণ ও আঞ্চলিক সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জানা যায়, বুড়িচং সদর থেকে রাজাপুর হয়ে শংকুচাইল পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার পাঁকা সড়ক। এটি উপজেলার একটি ব্যস্ততম সড়ক। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে। এরই মধ্যে সড়কটি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তার সঙ্গে দেখা দিয়েছে ক্ষত। বর্তমানে সড়কটি দিয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গর্তগুলো মাটি দিয়ে ভরাট করার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। হরিপুর গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাক মোতালেব হোসেন বাসসকে বলেন, সিএনজি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি।

২১ আগস্ট রাতে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকায় পানি ঢুকে। তড়িঘড়ি করে পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাই। গত দশ-বারো দিন ধরে গাড়ি চালাতে পারছি না। গর্তগুলা ভরাট না করলে কোনোভাবে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। দ্রুত সড়কের মেরামতের দাবি জানাই। হরিপুর গ্রামের শাহিন বলেন, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বন্যার পানিতে পুরো উপজেলা ডুবে যায়। এখন পানি কমায় সড়কের বড় বড় গর্ত দেখা যাচ্ছে। আমরা এলাকাবাসী উদ্যোগ নিয়ে সড়কটি মেরামত করার জন্য কাজ করছি ।

বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ মাহমুদ বলেন, পুরো উপজেলায় এখনো পানি। কিছু কিছু জায়গায় পানি কমতে শুরু করেছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো আগে মেরামত করার চেষ্টা করব।  এদিকে জেলার দক্ষিণাঞ্চলের লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বন্যার পানি কমে পরিস্থিতির আরও উন্নত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, ১০ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। ৭শ’ ২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ২২৫টি মেডিকেল টিম এসব অঞ্চলে চিকিৎসা সেবা দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।

জেলা প্রশাসন থেকে ৩৯ লাখ নগদ টাকা ও ৮০০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কুমিল্লা জেলায় ১৬ শ’ টন চাল, নগদ ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এদিকে কুমিল্লায় ত্রাণ দেওয়া অব্যাহত রয়েছে। জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা ত্রাণগুলো দুর্গতদের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছেন। গত কয়েকদিনে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতি আরও উন্নতি হয়েছে।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।