• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:৫৭

ফোনের চার্জার সবসময়ই কেন সাদা বা কালো রংয়ের হয়?

পথরেখা অনলাইন : ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বা অন্য যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে চার্জার খুই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমরা যেমন খাবার খেয়ে সুস্থ থাকি যা আমাদের গতিশীলতা এবং জীবনীশক্তি দেয়, ঠিক একইরকমভাবে ডিভাইসগুলোর জন্যও একই কাজ করে চার্জার। চার্জার ছাড়া যেকোনো ডিভাইসই বোঝা ছাড়া আর কিছু নয় - এটি অকেজো।

তবে চার্জারের রং নিয়ে অনেকের মনে কৌতহল আছে। কেননা, খেয়াল করলে দেখবেন স্মার্টফোনের চার্জার বা অ্যাডাপ্টরের রঙ সাদা কিংবা কালো রঙের হয়। আপনি যদি মনে করেন, স্মার্টফোনের চার্জারের রঙের পেছনে কোন কারণ নেই তাহলে আপনার ধারণা ভুল।

একটি নির্দিষ্ট কারণেই স্মার্টফোনের চার্জার শুধু কালো বা সাদা রঙের হয়ে থাকে। অনেকে মনে করেন যে কোম্পানিগুলোর টাকা বাঁচানোর জন্য এটা করে থাকে, কিন্তু আসল কারণটা অন্য কিছু।

এখন অনেকেই লাল ওয়ানপ্লাস চার্জার নিয়ে কথা বলতে পারেন। তবে সেটার কেবল তারটি লাল এবং চার্জারটি কিন্তু সাদা। তাই প্রশ্ন থেকে যায়। সাদা এবং কালো ছাড়া অন্য রঙে চার্জার আসে না কেন?

আসলে প্রতিটি রঙের ভিন্ন ভিন্ন তাপ পরিবাহী ক্ষমতা রয়েছে। অর্থাৎ, একেকটি রঙ একেক মাত্রায় তাপ শোষণ করে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি তাপ শোষণ করতে পারে কালো রঙ। সেই জন্যই চার্জার মূলত কালো রঙের হয়। ওর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ যায়, ফলে তা সহজেই গরম হয়ে ওঠে। বেশি গরম হয়ে গেলে তার পুড়ে যাবে, ডিভাইসেরও ক্ষতি হবে। কালো রঙে সে ভয় নেই, তাই চার্জার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কালো রঙের হয়। অন্য রঙ সহজেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

প্রকৃতপক্ষে, প্রতিটি রঙের একটি ভিন্ন তাপ পরিবাহিতা আছে। এর মানে হলো যে, প্রতিটি রঙ বিভিন্ন পরিমাণে তাপ শোষণ করে। এর মধ্যে কালো রঙ সবচেয়ে বেশি তাপ শোষণ করতে পারে। এই কারণে, চার্জার বেশিরভাগ কালো হয়। এর মধ্য বিদ্যুৎ দিয়ে যায়, তাই এটি সামান্য গরম হয়। যদি এটি খুব গরম হয়ে যায়, তাহলে এটি পুড়ে যেতে পারে এবং ডিভাইসের ক্ষতি হতে পারে। কালো রঙের চার্জারে ভয় নেই, তাই চার্জারটি প্রধানত কালো হয়। অন্যান্য রঙ সহজেই উত্তপ্ত হয়।

এখানে আর্থিক দিকও আছে। কালো চার্জারগুলোর কাঁচামালের খরচ অন্যান্য রঙের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। ফলে এটি কোম্পানিগুলোর জন্য খুবই সাশ্রয়ী।

অবশ্য এই দুটি বৈশিষ্ট্য সাদা রঙের চার্জারেও পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। এ কারণেই আপনি সম্ভবত লক্ষ্য করেছেন যে, বেশিরভাগ গ্যাজেট নির্মাতারা আজকাল তাদের ডিভাইসের জন্য সাদা রঙের চার্জার অফার করে। কারণ সাদা রঙ কালো রঙ থেকে কম উত্তপ্ত হয়।

ভিভো, অপো, ওয়ানপ্লাস, রেডমি ও রিয়েলমি-র মতো কোম্পানিগুলো বর্তমানে সাদা রঙের চার্জার অফার করছে। আর যখন অ্যাপলের কথা ওঠে আসে, তারা সবসময় সাদা চার্জার অফার করে এবং এখনও প্রযুক্তির বিশ্বে সেরার তকমা তাদেরই হাতে!
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।