পথরেখা অনলাইন : ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো তারা সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বেশ কিছু শিক্ষার্থীর হলের সিট বাতিল করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। তবে ঠিক কতজনের সিট বাতিল করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলছেন, দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তাঁরা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেবেন না। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে রাতে ব্যাচভিত্তিক শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবেন।
এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) মোহাম্মদ আল আমিন সিদ্দিক বলেন, হলের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের হলের সিট বাতিল করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যাটা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।
এদিকে সিট বাতিলের বিষয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তারা কেন্দ্রীয়ভাবে ৫৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। এর বাইরে আরও কিছু সিট বাতিল করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে তাঁরা কেন্দ্রীয়ভাবে অভিযোগ দেননি। তবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তাদের সবার সিট বাতিল করা হয়েছে। তাঁরা ছাত্রলীগের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুটি তদন্ত কমিটি করেছে, তারা কাজ করছে। যেহেতু তালিকাটা লম্বা, সেহেতু তাদের কাজ করতে একটু সময় লাগবে।
তদন্ত কমিটির দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখার পর শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা হবে। তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা ক্লাসে ফিরবেন কি ফিরবেন না, সেই সিদ্ধান্ত নেবেন। এ সপ্তাহে যেহেতু আর কোনও ক্লাস নেই। সেজন্য আলোচনার ভিত্তিতে হয়তো শনিবার থেকে তারা ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে পারেন।
পথরেখা/এআর