• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:০৬
গবেষণা তথ্য

মোবাইল ব্যবহারে ব্রেন ক্যানসারের ঝুঁকি নেই

পথরেখা অনলাইন : মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কের ক্যানসার হতে পারে এমন ধারণা ছিল অনেকেরই মনে। কিন্তু সেই ধারণা পালটে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানিয়েছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারে ব্রেন ক্যানসারের ঝুঁকি নেই। বিশ্বজুড়ে ৬৩টি গবেষণা পর্যালোচনা করে মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে ব্রেন ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার মধ্যে কোনো যোগসূত্র পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। সম্প্রতি এনভায়রনমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে স্কাই নিউজ।

ডব্লিউএইচওর পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ২০ বছরে বেতার বা তারবিহীন প্রযুক্তি অনেক বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও ব্রেন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়েনি। এ পর্যালোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান রেডিয়েশন প্রোটেকশন অ্যান্ড নিউক্লিয়ার সেফটি এজেন্সির বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি এতে অংশ নিয়েছেন ১০টি দেশের গবেষকরা। এ গবেষণায় ৩০০ হার্টজ থেকে ৩০০ গিগাহার্টজ তরঙ্গদৈর্ঘ্যরে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির ওপর নজর দিয়েছেন তারা। মোবাইল ফোন, ওয়াই-ফাই, রেডার, বেবি মনিটর ও অন্যান্য অ্যাপের জন্য ব্যবহার হয় এসব রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি। এ গবেষণা দলটি মস্তিষ্কের ক্যানসার, পিটুইটারি গ্রন্থি, লালা গ্রন্থি ও লিউকেমিয়ার মতো ক্যানসার পর্যবেক্ষণ করেছেন বলে জানিয়েছেন এ পর্যালোচনার সহ-লেখক ও ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের ক্যানসার এপিডেমিওলজি বিভাগের অধ্যাপক মার্ক এলউড। তিনি বলেছেন, এখানে পরীক্ষা করা বিভিন্ন বড় প্রশ্নের কোনোটিতেই ক্যানসারের ঝুঁকি দেখা যায়নি। মূল সমস্যার ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ও মস্তিষ্কের ক্যানসারের জন্য দশ বছরের বেশি বছরের এক্সপোজার ও কল টাইমের সবচেয়ে বেশি কল সংখ্যার সঙ্গেও কোনো বাড়তি ঝুঁকির খোঁজ মেলেনি।

এ গবেষণা পর্যালোচনাটি করা হয়েছে ২২টি দেশের ১৯৯৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রকাশিত ৬৩টি প্রাসঙ্গিক নিবন্ধ। অধ্যাপক মার্ক এলউড বলেছেন, মোবাইল ফোন ও মস্তিষ্কের ক্যানসারের মধ্যে সম্পর্ক আছে কিনা তা দেখতে ১০ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে ফোন ব্যবহার করছেন এমন ব্যক্তির ডেটা ব্যবহার হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এ গবেষণায় বেশিরভাগ ফোন ব্যবহার করা হয়েছে বিগত বিভিন্ন বছরের ১জি ও ২জি নেটওয়ার্ক থেকে। আর এগুলোর তুলনায় নতুন ৩জি ও ৪জি নেটওয়ার্কের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির নির্গমন যথেষ্ট পরিমাণে কম। রেডিও, টিভি ট্রান্সমিটার বা মোবাইল ফোনের বেইজ স্টেশন থেকে শিশুদের মধ্যে লিউকেমিয়া বা মস্তিষ্কের ক্যানসারের কোনো ঝুঁকি খুঁজে পাননি গবেষকরা। ৫জি মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ে অধ্যাপক এলউড বলেছেন, এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো গবেষণা হয়নি। এ পর্যালোচনাটি শেষ হতে চার বছর সময় লেগেছে বলেও জানিয়েছেন এলউড।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।