• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৩৩

শিক্ষককে অপমানের প্রতিবাদে যবিপ্রবিতে মানববন্ধন

পথরেখা অনলাইন : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সেলিনা আক্তারকে অপমান করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইকেল মধুসূদন দত্ত লাইব্রেরির সামনে যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির ব্যানারে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান তারা।

মানববন্ধনে কেমিকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. জাভেদ হোসাইন খান বলেন, ‘আমাদের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের অবস্থানের জন্য গর্ব করি। আমাদের সব শিক্ষকরা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রাণপণে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ অবস্থায় একটি কুচক্র বিশেষ কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম এবং আমার কাছে এটি একটি পূর্ব পরিকল্পনা বলে মনে হয়েছে। আমি চাই একটি সুষ্ঠু তদন্ত কমিটির মাধ্যমে আগামী সাতদিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও নীল দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. মো. নাজমুল হাসান বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলনের সময় সংহতি জানিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানববন্ধন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণায় যে উর্ধ্বগতি, সেটা থামানোর প্রচেষ্টা হিসেবে শিক্ষকদের মধ্যে ঝামেলা তৈরি করা হচ্ছে এবং তাদের অপমান করা হচ্ছে। আমরা শিক্ষকরা এটা মেনে নেব না। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই, যেন আমাদের পরবর্তীতে ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে মাঠে নামতে না হয়।’

সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সব শিক্ষকের মধুর সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীসুলভ নয় এমন কিছু বহিরাগতরা অনুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিনা আক্তারের সঙ্গে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে ও মানহানির চেষ্টা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা চাই আগামী তিনদিনের মধ্যে একটি সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক এবং কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী আগামী সাতদিনের মধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. আমজাদ হোসেন বলেন, “তৎক্ষণাৎ উদ্ভূত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য আমি ড. সেলিনা আক্তারকে বলেছিলাম, ‘আপা তুলেন না।’ তবে আজকে মানববন্ধনের বিষয়ে মনে হয়েছে শিক্ষকরা নীল দলের শিক্ষকদের পুনর্বাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”

এর আগে, যবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেনকে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে তার ছবি পদদলিত করেছে যশোর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ড. আনোয়ার হোসেনকে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সেলিনা আক্তার তার সরাসরি শিক্ষক দাবি করে লিফটের দরজার সামনে ফ্লোর থেকে সাবেক উপাচার্যের ছবিটি তুলে নেন। এর প্রেক্ষিতে ড. সেলিনা আক্তারের অফিস কক্ষের নেম প্লেট খুলে ফেলে শিক্ষার্থীরা।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।