• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:০০

বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান


পথরেখা অনলাইন : দুই প্রকল্পে বাংলাদেশকে ২৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলার ঋণসহায়তা দেবে জাপান সরকার। এর মধ্যে যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণে ২৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং চট্টগ্রামের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ১২ লাখ ডলার দেবে দেশটি।

ঢাকায় অবস্থিত জাপান দূতাবাস জানিয়েছে, এ বিষয়ে  সোমবার (২৫ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এনইসি-২ সভাকক্ষে দুই দেশের সরকারের মধ্যে বিনিময় নোট ও ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও জাপান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। জাপান সরকারের ৪৫তম ওডিএ লোন প্যাকেজের প্রথম ব্যাচের আওতাধীন দুই প্রকল্পের জন্য এ ঋণচুক্তি করা হয়েছে।

যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৬৩১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ও জাপান আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (জাইকা) ১২ হাজার ১৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা দেবে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

প্রকল্পটির জন্য জাপান সরকার বিভিন্ন পর্যায়ে ঋণ দিয়ে আসছে। প্রকল্পের ঋণের সুদের হার নির্মাণকাজের জন্য ১ দশমিক ৭০ শতাংশ, পরামর্শকের জন্য শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ, এককালীন ফি শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। ঋণ পরিশোধকাল ৩০ বছর। এর মধ্যে ১০ বছর গ্রেস পিরিয়ড।

প্রকল্পে তৃতীয় ধাপে ২৩ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার ঋণের জন্য গতকাল চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পে মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ১৫২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৫৮১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ও জাইকা ৪ হাজার ১৪৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা দেবে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০৩২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত।

প্রকল্পটির মূল লক্ষ্য হলো—চট্টগ্রাম শহরে উপযুক্ত পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, পয়োনিষ্কাশন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, পাম্পিং স্টেশন এবং পাইপলাইন ইত্যাদির মতো পয়োনিষ্কাশন সুবিধা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং জলজ পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রাখা।

প্রকল্পটির জন্য জাইকা বিভিন্ন পর্যায়ে ঋণ দিয়েছে। প্রকল্পে ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসের জন্য জাইকা ১ কোটি ১২ লাখ ডলার ঋণ দেবে। এ ঋণের (ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস) সুদের হার শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ, এককালীন ফি শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ। ঋণ পরিশোধের সময় ৩০ বছর (১০ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ)।
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।