• বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১১ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৮:৪৩

রোগীর চাপ সামলেও মানসম্পন্ন চিকিৎসা দিচ্ছে হৃদরোগ হাসপাতাল

পথরেখা অনলাইন : দেশে হৃদরোগের চিকিৎসায় নিবেদিত বৃহত্তম বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতাল ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেস’ (এনআইসিভিডি)।১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে হাসপাতালটি দীর্ঘদিন ধরে অগণিত রোগীকে সেবা দিয়ে আসছে। সময়ের ব্যবধানে এতে রোগীর চাপ বেড়েছে কয়েক গুণ। ফলে অতিরিক্ত রোগীর চাপ ও শয্যা সংকটের কারণে সেবাদানে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে হাসপাতালটিকে।
 
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত হাসপাতালটিতে সরেজমিনে দেখা যায়, মেঝেতে সারিবদ্ধভাবে বিছানা পেতে থাকা রোগীর ভীড়। পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় এভাবে কষ্টকর পরিস্থিতিতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে তাদের।হাসপাতাল সূত্র জানায়, হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চিকিৎসকরা প্রথমে বিভিন্ন পরীক্ষার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এসব পরীক্ষার টাকা জমা দিতে দীর্ঘক্ষণ এমনকি অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। পড়তে হয় নানা ঝক্কি-ঝামেলায়।
 
ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ইসিজি, ইকো ও অ্যাঞ্জিওগ্রাম পরীক্ষার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকা রোগী ও তাদের পরিচালকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখতে পান।কুমিল্লার লাভলু হোসেন তার ভাইকে ভর্তি করেছেন হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য। তিনি বলেন, এখানকার চিকিৎসা খুবই ভালো। তবে, রোগীর চাপে সেবাপ্রার্থীদের অনেককে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এটি সঠিক ও যথাসময়ে চিকিৎসা প্রাপ্তির অন্তরায়।
 
অপর এক রোগী আফসার আলী হাসপাতালের চিকিৎসায় সন্তোষ প্রকাশ করলেও উন্নতমানের চিকিৎসার গুণগত মান ও অধিক সংখ্যক রোগীর চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টিতে হাসপাতালের শয্যা বাড়ানোর ওপর জোর দেন।হাসপাতাল সূত্র জানায়, এনআইসিভিডিতে এখন মোট ১২৬০টি শয্যা রয়েছে যা চাহিদার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। তারা জানান, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয়। টিকিটের দাম ১০ টাকা। প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।
 
১০-১২ জনের একটি চক্রকে ইঙ্গিত করে হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে শয্যা ব্যবসার অভিযোগ করেন কয়েকজন রেগী। তাদের অভিযোগ, এখানে বিনামূল্যে সিট বরাদ্দের ব্যবস্থা থাকলেও এই অসাধু চক্র রোগীদের সিটের ব্যবস্থা করে দিতে টাকা আদায় করে থাকে। এদের কারণে বিনামূল্যে শয্যা পাওয়া অসম্ভব।
 
এনআইসিভিডির পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, কোনো কোনো সেকশনে অতিরিক্ত চাপের সুযোগে রোগী ও তাদের স্বজনদের কাছ থেকে এ ধরনের অবৈধ সুবিধা নিতে পারে। এ ধরনের কাউকে হাসপাতালে পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে রোগী ও তাদের স্বজনদের এই ধরনের অন্যায্য সুবিধা না নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
 
দালালদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাসপাতালে শয্যা সংকটের কারণে রোগীর প্রচণ্ড চাপ মোকাবেলা করতে হয়। রোগীর চাপ কমাতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরের হাসপাতালে কার্ডিয়াক ইউনিট স্থাপনেরও পরামর্শ দেন তিনি।
পথরেখা/এআর

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।