• বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
    ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৪৯

বেরোবি ক্যাম্পাসে ফুটেছে মহাবিপন্ন উদাল ফুল

পথরেখা অনলাইন : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হাজারো ফুল-ফলের গাছের ভিড়ে প্রথমবারের মত ফুটেছে উদাল ফুল। ওষুধি গুণে ভরা উদালের দেখা মেলে না সহজে। ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের তফসিল-৪ অনুযায়ী এ উদালকে বাংলাদেশের ‘মহাবিপন্ন’ প্রজাতির তালিকাভুক্ত উদ্ভিদ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।আজ সকালে ক্যাম্পাসে এই ফুলের দেখা মিলেছে।

এই গাছটি সম্পর্কে তথ্য অনুসন্ধান করে জানা যায়, উদাল দক্ষিণ এশিয়ার একটি উদ্ভিদ প্রজাতি। এর ইংরেজি নাম হেইরি স্টারকুলিয়া বা এলিফ্যান্ট রোপ ট্রি। তবে এর বৈজ্ঞানিক নাম স্টারকুলিয়া ভিলোসা। এটি  ২০ মিটার বা ততোধিক উঁচু পত্রমোচী মাথা ছড়ানো প্রজাতির একটি গাছ। এদের বাকল সাদাটে রঙের। এদের পাতার বোঁটা লম্বা, ফলক বড় ও পাতা খাঁজকাটা, পাতার প্রশাখার আগা ঘনবদ্ধ। এদের নিষ্পত্র শাখার লম্বা ও ঝুলন্ত ডাঁটায় অনেকগুলো ফুল ধরে। ফুল পুংলিঙ্গ ও উভয়লিঙ্গ হয়ে থাকে। ফুল ১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার চওড়া। ফুলগুলো সোনালি হলুদ রঙের, ফুলের ভেতর বেগুনি। এই গাছের বড় বড় একাধিক বীজ হয়ে থাকে এবং বীজের রং কালো। উদাল গাছের কাঠ বাদামি রংয়ের এবং  নরম ও হালকা হয়ে থাকে। এই গাছের কাঠ দিয়ে চা বাক্স বানানো হয়। এই গাছের বাকল থেকে এক ধরনের আঁশ পাওয়া যায়। সেই আঁশ দিয়ে মোটা রশি তৈরি করা যায়। এদের বীজে চাষ করা হয়।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. শরীফুল ইসলাম ননতু বলেন, উদালের বাকলের শরবত শরীর ঠান্ড রাখে। ফুলের বৃন্ত ছেঁচে পানির সঙ্গে চিনি দিয়ে শরবত করে খেলে প্রস্রাবের সমস্যা ও বাতের ব্যথা দূর হয়। এর বোঁটাতে এক ধরনের জেলি জাতীয় পদার্থ থাকে যা দুর্বল শরীরকে সতেজ করতে বেশ উপকারী।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদাল ছাড়াও  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ গাছ। এর মধ্যে রয়েছে, ঘোড়া চাবুক, তেলসুর, ঢাকিজাম, টেবেবুইয়া, হলদু, ছোটহলদু, ইটোরিয়া, ঝুমকাভাদি, কাঞ্চনভাদি, চুন্দুল, বান্দরহুলা, নহিচিচি, উদাল, হিজল, কর্পুর, জাবাটিকাবা, সুলতান চাঁপা, বিলম্বী, গুস্তাভা, রুদ্রপলাশ, হলুদ পলাশ, স্বর্ণচাঁপা, বক্সবাদাম, জাকারান্ডা, সুন্দরী, কানাইডিঙা, মণিমালা, বাজনা, নাগেশ্বর, কফি, হিমজুড়ি, রক্তন, কুরচি, জাতবাটনা, আগর, রিঠা, লোহা, পীতরাজ, বলচ, ব্রেডফ্রুট, গুটগুইট্টা, তমাল, কুম্ভি, ধারমারা, রসকাউ, পাদাউক, তেজমাটাম, কণকচূড়া, পুত্রঞ্জীব, রুদ্রাক্ষ, উড়আম, হৈমন্তী, সিভিট, বাবলা, লালসোনাইল, পালাম, মাইলাম, কুসুম, ছোটহরিণা, কুচিলা, ক্ষুদিজম, রেডবীচহিবিসকাস, অটোগ্রাফট্রি, কোরাল উড, ডাম্বিয়া, ওসেজঅরেঞ্জ, অ্যাসট্রি আমেরিকান, কুইনাল, খিলখেজুর, হাতিবেল, বাওবাব, চায়নাডল প্রভৃতি।  

বেগম রোকেয়া বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, তিন বছর আগে উদালের চারা এনে লাগিয়েছিলাম। তিন বছরেই উদালে ফুল ফুটেছে। এই গাছটি বিপন্নদের তালিকায়। এর সংরক্ষণে যথযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। উদাল বাংলাদেশ ছাড়াও চীন, নেপাল, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়ায় দেখা যায়। তবে তা খুবই কম।
পথরেখা/এআর
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।