• বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
    ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৩৭

বিধ্বস্ত গাজায় রমজান শুরু ধ্বংসস্তুপেই সাজসজ্জা-আমেজ

পথরেখা অনলাইন : গাজার জনগণের জন্য রমজান সর্বদাই উষ্ণতা, উদারতা এবং ব্যস্ত বাণিজ্যের সময়। কিন্তু এ বছর পবিত্র মাসটি এমন সময় এসেছে যখন ফিলিস্তিনের বাসিন্দারা ১৫ মাসের বিধ্বংসী ইসরায়েলি আক্রমণ থেকে রিজেদের পুনরুদ্ধার করতে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

এত সব কষ্ট সত্ত্বেও গাজার জনগণের মধ্যে রমজান উপলক্ষ্যে শালীন সাজসজ্জার প্রদর্শনী দেখা গেছে। অস্থায়ী, স্থায়ী, বিধ্বস্ত ঘরগুলোর দরজায় দেখা মিলেছে ঝুলন্ত সাধারণ লণ্ঠন, আলোকসজ্জা। বাজারগুলোতে কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষের ভিড় দেখা গেছে। সবমিলিয়ে রমজান উপলক্ষ্যে বাসিন্দাদের মধ্যে বিরাজ করছে বিধ্বস্ত আমেজ।

উত্তর গাজার জাবালিয়া ক্যাম্পে একটি তাঁবুতে বসবাস করা মাহদি আবু রুকবা নামে একজন জানান, সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে পবিত্র মাসকে স্বাগত জানাতে হচ্ছে। তবু সন্তানদের নিয়ে একটু আমেজে বেঁচে থাকার চেষ্টা। কয়েকটি সাধারণ সাজসজ্জা কিনেছিলাম এবং আমাদের তাঁবুর প্রবেশদ্বারে ঝুলিয়ে দিয়েছিলাম। এবারের রমজান অন্য বছরের মতো নয়, তবে কিছু করার নেই। তাছাড়া এটি বিশ্বকে আমাদের দুঃখকষ্ট এবং আমাদের জীবনের বাস্তবতা মনে করিয়ে দেওয়ার একটি উপায়।

আবু রুকবার পরিবার গত রমজানেও দক্ষিণের একটি তাঁবুতে বসবাস করছিলেন। এখন তিনি উত্তরে বসবাস করছেন। গত ১৯ জানুয়ারী ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর অনেকেই নিজস্ব এলাকায় ফিরে গেলেও তিনি অপেক্ষা করছেন।তিনি বলেন, ইসরায়েলের আক্রমণে আমাদের বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। নিজের অঞ্চল ছেড়ে অন্য একটি এলাকার ধ্বংসাবশেষের মধ্যে আছি। সন্তানদের জন্য একটি ছোট লণ্ঠন কিনেছিলাম। আশা করছি, এর নরম আভা উদযাপনের অনুভূতি জাগাবে।

গাজার ব্যবসায়ীদের জন্যও এটি চ্যালেঞ্জিং সময়। অন্য সব বছরগুলোর মতো এবার ব্যস্ত সময় যাচ্ছে না তাদের। গাজা শহরের আল সাহাবা বাজারের ব্যবসায়ী গাজী মাকতা বলেন, সত্যি বলতে জিনিসপত্র খুবই দুষ্প্রাপ্য। খাদ্য পাওয়া গেলেও রমজানের অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়া কঠিন। খুব কমই নতুন কোনো গৃহস্থালী সামগ্রী বা সাজসজ্জা আছে। যা পাওয়া যায় তা যুদ্ধের আগের অবশিষ্টাংশ এবং দাম খুব বেশি।

কথা হয় ৪০ বছর বয়সী মিসেস ইয়াঘির সঙ্গে। যিনি যুদ্ধে হারিয়েছেন সর্বস্ব। তিনি বলেন, যুদ্ধে সব হারিয়েছি। এখন রমজান উপলক্ষে কেনাকাটা জরুরি। কিন্তু বাজারে দাম অনেক বেশি। তাও যতটা পারা যায় চেষ্টা করছি। এগুলো দিয়েই থাকার পরিবেশটা গুছিয়ে নিতে হবে।তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি সামনের রমজান আরও ভাল হবে। আমাদের পরিবারের সকল সদস্যরা আগের মতোই টেবিলের চারপাশে জড়ো হব।
 পথরেখা/এআর
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।