• বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
    ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৪১

স্কুল ভর্তিতে ৫ শতাংশ কোটার আদেশ বাতিল

পথরেখা  অনলাইন : সমালোচনার মুখে জুলাই-আগস্টের স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সন্তানদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটার সেই আদেশ বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে, কোটার জায়গায় নতুন করে প্রতি শ্রেণিতে একটি করে আসন বেশি রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার (৩ মার্চ) আগের আদেশ বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয়। আজ (৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব (মাধ্যমিক-১) মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার। নতুন আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে গণঅভ্যুত্থানের ফলে অনেক ছাত্র-জনতা আহত ও শহীদ হন। তাদের পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে জারিকৃত আদেশ বাতিল করে নতুন আদেশ জারি করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে ভর্তির জন্য নির্ধারিত আসন সংখ্যার অতিরিক্ত প্রতি শ্রেণিতে ১টি করে আসন সংরক্ষিত থাকবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/ শহীদ পরিবারের সদস্যদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র/গ্যাজেটের সত্যায়িত কপি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ইস্যুকৃত জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪-এ শহীদদের গেজেট যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত/ শহীদ পরিবারের সদস্যদের পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে উক্ত আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।

এর আগে গত ২ মার্চ ২০ ফ্রেবুয়ারি স্মারকে একটি আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটার মতো ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের পরিবারের সন্তানদের সরকারি বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা পাবে। আদেশে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪ এ আহত বা শহীদ পরিবারের সদস্যদের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে।

কেন আদেশ বাতিল করা হয়েছে জানতে চাইলে উপসচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করেছি। কারা আমার জানা নাই। জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান বলেন, নতুন সার্কুলারের বিষয়টি আমার জানা নেই। আগের সার্কুলারটি আমরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ হিসেবে শুধু ওয়েবসাইটে আপলোড করেছি। সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাতিলের বিষয়টি আমার জানা নেই।
পথরেখা/এআর
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।