দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : খেলাধুলার সঙ্গে বিশেষ করে ফুটবলের সাথে পিপাসার সম্পর্ক অনেক। পিপাসা নিবারণের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম মিনারেল ওয়াটার। এত দিন বাফুফে নিজস্ব খরচেই এই পানির ব্যবস্থা করে আসছিল। দীর্ঘদিন পর প্রথম বারের মতো বাফুফে বেভারেজ পার্টনার পেল। টিকে গ্রুপের সঙ্গে বাফুফের দুই বছরের চুক্তি হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় বাফুফের সকল প্রতিযোগিতায় প্রয়োজনীয় পানির বোতল সরবারহ করবে টিকে গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান পুষ্টি।
বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, ‘বছরে আমাদের পানির খাতে ৫৪ লাখ টাকা খরচ হয়। এখন থেকে সেটা আর লাগছে না। পুষ্টি আমাদের সকল কার্যক্রমে পানি সরবারহ করবে।’ বছরে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয় অর্থ হচ্ছে প্রতি মাসে বাফুফের সাড়ে চার লাখ টাকার উপরে। নারী দল, একাডেমি দলের অনুশীলনে অনেক পানির বোতল ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বহুজাতিক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রেও পানির ব্যবহার বাড়ে বহুগুণে। সেই হিসাবে ৫৪ লাখ টাকা বেশি না হলেও বাফুফের মধ্যে অব্যবস্থাপনা থাকায় প্রশ্ন থেকে যায়। অনেক সময় পানি গাড়ি করে অন্যত্র নেওয়ারও অভিযোগ শোনা যায়। টিকে গ্রুপের ডিরেক্টর মার্কেটিং মোফাসসেল হক বাফুফের সঙ্গে চুক্তি করতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত, ‘আমরা সালাম ভাই, সালাউদ্দিন ভাই পরবর্তীতে আসলাম ভাই, কায়সার হামিদদের খেলা দেখেছি। ফুটবলের অনেক জনপ্রিয়তা ছিল। সেই ফুটবলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমরা দারুণ খুশি। ভবিষ্যতে আমরা ফুটবলের আরো অন্য ক্ষেত্রেও থাকার চেষ্টা করব।’
বাফুফেতে কাজী সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীরা এক যুগের বেশি সময় ধরে আছেন। দীর্ঘদিন থাকার পরেও বাফুফের মাকের্টিংয়ে পেশাদারিত্ব নেই, এমনকি নেই মার্কেটিং কমিটিও। এই প্রসঙ্গে সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, ‘আসলে যখন যে টুর্নামেন্ট বা কাজ হয় তখন সেই কমিটির প্রধানরা মূলত মার্কেটিংয়ের কাজ করেন। সেই অর্থে বলতে পারেন আমরাও মার্কেটিং অফিসার। তবে এটা সত্যি আমাদের মার্কেটিংয়ে পেশাদারিত্বে ঘাটতি ছিল। যার প্রভাবে স্পন্সরে কমেছে। সেটা কাটিয়ে উঠছি সামনে।’ বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন ও চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরি, ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ ছাড়াও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
দেশকন্ঠ/অআ