দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : নোয়াখালীর সেনবাগে সদ্য নবজাতকের বাড়িতে গিয়ে চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা না পাওয়ায় নিজের দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের চুমকি (২৬)। ১৬ মার্চ সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ১৮ মার্চ এ ঘটনায় পাল্টা অভিযোগ জানিয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুমকিসহ তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন নবজাতকের জন্ম হয়েছে খবর পেয়ে রেজ্জাক পুলিশের বাড়িতে যান। নবজাতকের বাবা প্রবাসী হওয়ায় তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
নবজাতকের মা ৪০০ টাকা দিলে তারা গায়ে আগুন লাগানোর ভয় দেখিয়ে পুরো টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে আগুনের ভয় দেখাতে গিয়ে চুমকির গায়ে আগুন ধরে যায়। তাৎক্ষণিক বাড়ির লোকজন ১৫০০ টাকা দিলে তারা বাড়ি ত্যাগ করেন। পরে আবার তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন এসে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় নবজাতকের মা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের সেনবাগ থানায় নিয়ে যায়। কাদরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যর চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা আমার পক্ষ থেকে দিয়েছি। তারা আরও টাকা দাবি করছে। অথচ ভুল তাদের কিন্তু খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের।’
সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ‘নবজাতক জন্মের খবরে রেজ্জাক পুলিশের বাড়িতে হাজির হন তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা। এসময় নবজাতকের পরিবারের কাছে চাঁদা দাবী করেন তারা। চাহিদা অনুযায়ী টাকা না পেয়ে চুমকি নামে একজন ভয় দেখাতে গিয়ে দগ্ধ হন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের পক্ষ থেকে নবজাতকের পরিবারের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নবজাতকের বাড়ির তিন জনকে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশকন্ঠ/অআ