• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৫৭

জোকোভিচের সামনে নাদাল

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : রোলাঁ গারোঁয় রোববার চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে সামর্থ্যের সবটুকু নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ফেলিক্স। এখানে রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নকে চমকে দিয়ে জিতে নেন প্রথম সেট। এরপর নাদালের ঘুরে দাঁড়ানো, আবার ফেলিক্সের উত্থান, এভাবেই বারবার বাঁকবদলের ম্যাচ গড়ায় পঞ্চম সেটে। ম্যাচ নির্ধারণী সেটেও অনেকটা পথ দুজন এগিয়ে যান সমানে-সমান। অবশেষে অষ্টম গেমে সার্ভিস ব্রেক করে মোড় ঘুড়িয়ে দেন নাদাল। চার ঘণ্টা ২১ মিনিটের লড়াইয়ে তিনি জেতেন ৩-৬, ৬-৩, ৬-২, ৩-৬, ৬-৩ গেমে। সেমি-ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী মঙ্গলবার নাদাল মুখোমুখি হবেন নোভাক জোকোভিচের। দাপুটে পারফরম্যান্সে চতুর্থ রাউন্ডের বাধা অবশ্য অনায়াসে টপকে যান জোকোভিচ। প্রথম তিন রাউন্ডে একটিও সেট না হারা সার্ব তারকা এ দিনও একইভাবে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেন। আর্জেন্টিনার দিয়েগো শয়ার্টসমানকেও উড়িয়ে দেন ৬-১, ৬-৩, ৬-৩ গেমে। কোভিড-১৯ টিকা না নেওয়ায় বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন জোকোভিচ। নিয়ম শিথিল করে তাকে খেলতে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্তে প্রবল আপত্তি জানায় দেশটির মানুষ। পরে বিষয়টি গড়ায় আদালতে। সেখানে হেরে গিয়ে না খেলেই অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হয়েছিল বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা খেলোয়াড়কে।
 
ক্যারিয়ারে সেই কঠিন সময় পেরিয়ে রোলাঁ গারোঁ দিয়েই গ্র্যান্ড স্ল্যামে ফেরেন জোকোভিচ। ফেরার পর থেকে এখনও তার সামনে কেউ সেভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতেই পারেনি। হারেননি এখন পর্যন্ত কোনো সেট। জোকোভিচ ও সবচেয়ে বড় দুই প্রতিপক্ষের আরেকজন রজার ফেদেরারের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে ওই দুজনকে ছাড়িয়ে পুরুষ এককে ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড গড়েন নাদাল। এবার সেই রেকর্ড ছোঁয়ার পথে ছুটছেন ৩৫ বছর বয়সী জোকোভিচ। আর নাদালের লক্ষ্য রেকর্ডটা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার। স্প্যানিশ তারকার সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাসের জায়গা, মঞ্চটা যে ক্লে কোর্ট। অবশ্য জোকোভিচেরও আছে প্রেরণার উৎস। গতবার এখানে নাদালকে হারিয়েই ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। আর ফাইনালে স্তেফানোস সিৎসিপাসকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো জেতেন ফরাসি ওপের শিরোপা। নাদালের সামনে তাই এবার প্রতিশোধের পালা। এই নিয়ে ৫৯তম বারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে জোকোভিচ ও নাদাল। আগের ৫৮ ম্যাচে ৩০ বার জিতেছেন জোকোভিচ, নাদালের জয় ২৮টি।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।