• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৩

বৃষ্টিতে নাকাল রাজধানী

  • জাতীয়       
  • ১৮ জুন, ২০২২       
  • ৯৫
  •       
  • ১৮-০৬-২০২২, ১৩:৫৯:৩২

বিশেষ প্রতিবেদন : হঠাৎ ঝড়োবৃষ্টিতে সোমবার অচল হয়ে যায় রাজধানী। বিভিন্ন সড়কে জমে যায় হাঁটুপানি। দমকা হাওয়ায় বনানীসহ নগরীর কয়েকটি এলাকার সড়কের ওপর গাছ উপড়ে পড়ে। এতে করে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরবাসী পড়েন চরম ভোগান্তিতে। সড়কে গণপরিবহনের সংকট থাকায় কর্মব্যস্ত মানুষদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এই সুযোগে পরিবহন চালকরা হাতিয়ে নেয় অতিরিক্ত ভাড়া।
 
১৮ জুন সকাল থেকেই আবার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর আগে ১৭ জুন বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়া, শিলাসহ বৃষ্টি হয়। তবে সময় বিবেচনায় গড়ে বৃষ্টি হয় এক ঘণ্টা। এ সময় ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সামান্য এই বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি জমে বিভিন্ন সড়কে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাজধানীতে ঝড়োহাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টায় বৃষ্টি থেমে যায়। মঙ্গলবারও (আজ) বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। 
 
বৃষ্টির কারণে সড়কে চলাচল করা মানুষ ঝড়োবৃষ্টি থেকে বাঁচতে আশপাশের ভবন, অফিস, দোকানপাটে আশ্রয় নেন। তবে মাইক্রোবাস, বাস বা অন্যান্য গণপরিবহন খুব সতর্কতার সঙ্গে পথ চলেছে। বৃষ্টিতে ফার্মগেট, সংসদ ভবন এলাকা, আগারগাঁও, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, কালশী এলাকার সড়কে হাঁটুপানি জমে।
 
মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় সাধারণ মানুষদের এ সড়কে চলাচলে অন্তহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। চালকরা খানাখন্দে ভরা এ সড়কে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালিয়েছেন। পানি জমায় নগরীর অন্যান্য এলাকার সড়কে যানবাহনের গতিবেগ কমে যায়। 
 
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আহমেদুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, বৃষ্টির কারণে দীর্ঘসময় এক জায়গায় দাঁড়িয়েছিলাম। কারণ ঝড়োহাওয়া ও বৃষ্টির মধ্যে কোনোভাবেই মোটরবাইক চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। 
 
তিনি বলেন, বৃষ্টি থামার পর পুরানা পল্টন থেকে যমুনা ফিউচার পার্কে আসতে দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে। কেননা সড়কের একাংশ পানিতে ডুবে গেছে। তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো সড়কে উন্নয়ন কাজ চলছে। কোনো কোনো জায়গায় ম্যানহোলের ঢাকনা নেই। এমতাবস্থায় এসব জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মোটরবাইক চালাতে হচ্ছে।’ 
 
আগারগাঁও তথ্য কমিশনে বিশেষ প্রশিক্ষণে অংশ নেন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৩ কর্মকর্তা মমতাজী, মাহবুব ও আবদুল্লাহ। সন্ধ্যায় বসুন্ধরা গেটে তারা যুগান্তর প্রতিবেদককে বলেন, ‘আগারগাঁও থেকে আসার পথে দেখেছি মিরপুর স্টেডিয়াম ও কালশি এলাকায় সড়কের কয়েকটি পয়েন্ট হাঁটুপানি। ময়লা ও কর্দমাক্ত পানি মাড়িয়েই মানুষ চলাচল করছেন।’ কবির নামে মিরপুরের এক বাসিন্দা বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টায় অফিস থেকে বেরিয়ে সোয়া আটটায়ও বাসায় পৌঁছতে পারিনি। অথচ হেঁটে অফিস থেকে বাসায় যেতে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট। সামান্য বৃষ্টিতেই যদি সড়কে হাঁটুপানি জমে যায়, তাহলে বড় দুর্যোগ হলে এই শহরের কি অবস্থা হবে।’
 
নগরীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃষ্টিতে প্রগতি সরণি, বাড্ডা, গুলশান, বনানী, পুরান ঢাকার জুরাইন, পোস্তগোলা, সায়েদাবাদ, শহীদনগর, আজিমপুর, হাজারীবাগসহ আশপাশের এলাকায় সড়কে পানি জমে যায়। এ কারণে নগরবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। 
 
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঢাকার খাল ও পানি নিষ্কাশন নালাগুলোকে প্রবহমান করা না গেলে জলাবদ্ধতার সমাধান হবে  না। এ ব্যাপারে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ঢাকার খালগুলো খনন করে সচল করতে হবে। খালগুলো যাতে পুনর্দখল না হয়, সে ব্যাপারেও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে ঢাকামুখী জনস্রোত কমাতে বিকেন্দ্রীকরণের উদ্যোগ বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
দেশকণ্ঠ/আসো
 
 
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।