• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:২৩

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে খাদ্যশস্য নিতে চায় বন্যাপীড়িত ত্রিপুরা

  • জাতীয়       
  • ১৯ জুন, ২০২২       
  • ৯৭
  •       
  • ১৯-০৬-২০২২, ২১:২৭:৫১

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয় এবং আসামে সড়ক ও রেল যোগাযোগের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে ভারতের বাকি অংশের সাথে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আরেক রাজ্য ত্রিপুরার স্থল পরিবহন সংযোগ কার্যত ভেঙে গেছে। কবে নাগাদ পুনরায় এই যোগাযোগ চালু হতে পারে তা নিয়েও রয়েছে অনিশ্চয়তা। এই পরিস্থিতিতে খাদ্যশস্যসহ পণ্য পরিবহন নিশ্চিত করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার। ওই চিঠিতে বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাজ্যটিতে পাঠানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে। ১৯ জুন এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বাংলাদেশের আশুগঞ্জ নদী বন্দরের মাধ্যমে ত্রিপুরায় পাঠানো পণ্যের মধ্যে খাদ্যশস্য অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভারতীয় খাদ্য কর্পোরেশনকে (এফসিআই) নির্দেশ দিতে শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গোয়ালকে চিঠি দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
 
ভারতের উত্তর কাছাড় পাহাড় এবং মেঘালয়ের দক্ষিণাঞ্চলীয় পাহাড়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে। এতে করে ভারতের বাকি অংশ থেকে ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম, মিজোরাম এবং মণিপুরের কিছু অংশের রেল ও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আর এতেই ভারতের বাকি অংশ থেকে এসব এলাকায় পণ্য পরিবহণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারকে লেখা চিঠিতে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা বলেছেন, ‘ভারতের সরকারি বিতরণ ব্যবস্থাপনা (পিডিএস) খাদ্যশস্যের পুরো চাহিদা রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পূরণ করা হয়ে থাকে। কিন্তু লুমডিং-বদরপুর রেলওয়ে সেকশনের পাশাপাশি সড়ক সংযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কারণে রাজ্যে পিডিএস খাদ্যশস্যের প্রাপ্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’ এতে আরও বলা হয়েছে, গত ১৭ জুন পর্যন্ত ভারতীয় খাদ্য কর্পোরেশনের (এফসিআই) কাছ থেকে প্রায় ৬ হাজার ১০০ মেট্রিক টন ইস্যুযোগ্য পিডিএস চাল পেয়েছে ত্রিপুরা। যেখানে নিয়মিত পিডিএস প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী ও গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার অধীনে ত্রিপুরার মাসিক চাহিদা প্রায় ৩২ হাজার মেট্রিক টন।
 
ত্রিপুরার সরকারের দাবি, হাতে থাকা খাদ্যশস্যের বর্তমান স্টক দিয়ে শুধুমাত্র পাঁচ দিনের জন্য রাজ্যের চাহিদা পূরণ করা যেতে পারে। এটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় বলেও জানিয়েছে রাজ্যটি। উল্লেখ্য, প্রবলবৃষ্টি, বন্যা ও ভূমিধসে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় দুই রাজ্য আসাম ও মেঘালয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ জনে। এছাড়া রাজ্য দু’টিতে দুর্যোগপীড়িত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ। অন্যদিকে প্রবলবৃষ্টি ও বন্যায় আরেক উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরায় ১০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দুর্গত মানুষকে উদ্ধার অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের দাবিও উঠেছে। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে ত্রিপুরায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর নেই। এছাড়া রাজ্যটির সরকারি সূত্র জানিয়েছে, গত ৬০ বছরে মধ্যে আগরতলায় তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার কারণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।