• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০০

বিশ্বকাপ দেখতে গিয়ে ‘অবৈধ’ শারীরিক সম্পর্ক গড়লে ৭ বছরের জেল

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ফুটবল বিশ্বকাপের আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। আজ থেকে আর ৫ মাস পরই মাঠে গড়াবে ফুটবলের মহাযুদ্ধ। ফুটবল বিশ্বকাপ মানে দর্শক সমর্থকদের বিশাল এক মিলনমেলাও। তার অনুষঙ্গ হিসেবে সবসময়ই থাকে রাতভর উদ্দাম পার্টি। বিশ্বকাপকে ঘিরে যৌনকর্মীদের রমরমাও থাকে বেশ। তবে কাতারে এমন কিছুর দেখা মিলছে না। দেশটির পুলিশ জানাচ্ছে, এমন কিছু ঘটলে ৭ বছরের জেল হবে পরিণতি। সবশেষ দুই বিশ্বকাপ অর্থাৎ ব্রাজিল আর রাশিয়ার ফুটবলের মহাযজ্ঞকে ঘিরে লক্ষাধিক যৌনকর্মী ছিলেন ভেন্যুর আশেপাশে, দেশদুটোর পথে-ঘাটে। তবে কাতারে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক আইনসিদ্ধ নয়। ফলে এই বিশ্বকাপে এমন কিছুর দেখা মিলবে না। যদি আইন ভেঙে কোনো পর্যটক এমন কিছু করেও বসেন, সেটার পরিণতিও খারাপ হবে, জানাচ্ছে স্থানীয় পুলিশ। 
 
পুলিশের এক মুখপাত্র সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘স্বামী-স্ত্রী জুটি না হলে বিশ্বকাপ দেখতে এসে যৌন সম্পর্ক গড়া যাবে না। এবারের আসরে ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’ থাকবে না। কোনও পার্টি করা যাবে না। নিয়ম না মানলে জেল হতে পারে। বিশ্বকাপে প্রথম বার এভাবে যৌনমিলন নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। সমর্থকদেরকে তাই খুব সতর্ক থাকতে হবে।’ কাতারে বিবাহ-বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কে আছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। সমকামী সম্পর্কও দেশটিতে নিষিদ্ধ। সে দেশে এই ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি হতে পারে সাত বছর পর্যন্ত জেলে থাকার। ফিফা অবশ্য জানিয়েছিল, ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে এই প্রতিযোগিতায় আমন্ত্রিত সবাই। তবে দেশটির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, ফিফার এই আমন্ত্রণের তোয়াক্কা করছে না কাতার, দেশটিতে যাওয়ার অনুমতি পাচ্ছেন না সমকামী-রূপান্তরকামীরা। 
 
বিষয়টা অস্বীকার করলেন না কাতার বিশ্বকাপে ফিফার মুখ্য নির্বাহী নাসের আল খাতেরও। তিনি জানালেন, সমর্থকদের নিরাপত্তার জন্যই এই পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে তাদের। বললেন, ‘প্রত্যেক সমর্থকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাটা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু জনসম্মুখে ব্যক্তিগত ভালবাসার প্রকাশ ঘটানোটা আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে নেই। সেটা সবার জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য।’ সমর্থকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে কাতারের সুপ্রিম কমিটির পক্ষ থেকেও। কাতার ফুটবল সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মানসুর আল আনসারি বলেন, ‘কাতার খুব রক্ষণশীল দেশ। এখানে অনেক কিছুই সম্ভব নয়। সমকামিতা নিয়ে আপনি আপনার মতাদর্শ যদি প্রকাশ করতে চান, তাহলে সেটা এমন জায়গায় দেখান, যেখানে এটা আইনসিদ্ধ।’
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।