• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩৪

সিরিজ জয়ের পর পুরস্কৃত হচ্ছে নারী ফুটবল দল

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দুই ম্যাচের সিরিজ খেলেছে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে। ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে দারুণ একটা ইতিহাসও গড়ে ফেলেছে সাবিনা খাতুনের দল। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে প্রত্যাশার চাইতেও অনেক ভালো ফুটবল উপহার দিয়েছেন ড়োলাম রব্বানী ছোটনের শীষ্যরা। প্রথম ম্যাচে ৬-০ গোলের জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচের স্কোর গোলশূন্য ড্র হলেও, ৬১ ধাপ এগিয়ে থাকা মালয়েশিয়ার বিপক্ষে উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিয়েছেন নারী ফুটবলাররা। দেশের মাটিতে প্রথম আর্ন্তজাতিক সিরিজ জয়ে নারী ফুটবল দলকে উপহারের আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান এবং ফিফা কাউন্সিল মেম্বার মাহফুজা আক্তার কিরণ। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মেয়েদের এই ঐতিহাসিক জয়ের পর কোনও বাড়তি পুরস্কার দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে কিরণ বলেন, ‘সত্যি বলতে এই বিষয়ে খেলা চলাকালীণ সময়ে আমরা আলোচনা করছিলাম। আমি মাননীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলেছি। এছাড়া বাফুফের সভাপতি কাজি সালাউদ্দিনের সঙ্গেও আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করবো। আমাদের অবশ্যই ইচ্ছা আছে মেয়েদের পুরস্কৃতত করার।’ 
 
একই কথা জানিয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলি এমপি বলেন, ’আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগেই মেয়েদের ফুটবল দলকে সংর্বধনা দিয়েছেন। গনভবনে এখন সকলের যাতায়াতই করোনার কারণে সিমীত করা। তবে খেলাধুলার প্রতি তার ভালোবাসা থেকেই মেয়েদের সংর্বধনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা আলোচনা করবো। আশা করবো নারীদলকে পুরস্কৃত করা হবে।’ এদিকে ১০ জনের দেয়াল তুলে বাংলাদেশকে ঠেকাল মালয়েশিয়া। অনেকটা খেলার ধরন পাল্টাবে মালয়েশিয়া, ধারণাটা ভালোভাবেই মাথায় রেখে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশ নারী দলের ফুটবলাররা। তবে কৌশলটা কী আক্রমণাত্মক নাকি রক্ষণাত্মক তা নিয়েই ছিল প্রশ্ন। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আরেকটি জয় দেখার আশায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলা দেখতে এসেছিলেন সাত হাজারের মতো দর্শক। 
 
ম্যাচের শুরুর বাঁশি বাজতেই মালয়েশিয়ান মেয়েদের অতি রক্ষণাত্মক ফুটবল হতাশ করল দর্শকদের। হতাশ হতে হয়েছে ফুটবলারদেরও। সাবিনা খাতুনদের একের পর এক আক্রমণ আটকে গেল মালয়েশিয়ানদের মানব রক্ষণে। প্রথম ম্যাচে দেড় হালি গোলে বড় জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের ফল হলো হতাশার গোলশূন্য ড্র। চোট থাকার পরও সিরাত জাহান স্বপ্নাকে দলে রেখেই আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশকেই ম্যাচে খেলিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ। অপরদিকে আগের ম্যাচের চার ফুটবলারকে সাইডবেঞ্চে বসিয়ে দল সাজান মালয়েশিয়ান কোচ জ্যাকব জোসেফ। আগের ম্যাচে বড় হারের পর শুরু থেকেই সতর্ক হয়ে খেলেছে মালয়েশিয়া। ম্যাচের শুরু থেকে প্রায় পুরোটা সময় নিজেদের অর্ধে ১০ ফুটবলারকে নিজেদের অর্ধে রেখেছে দলটি। প্রতিপক্ষের খোলসবন্দী ফুটবলের সঙ্গে নিজেদের সুযোগ কাজে না লাগাতে পারাটাও হতাশ করবে সাবিনাদের।  এছাড়া ১৭টি কর্নার পেয়েও জিততে না পারার আফসোস তো রয়েছেই। একের পর এক আক্রমণ হেনেও গোলের তালা খুলতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। ৯০ মিনিট এক তাল-লয়ে খেলে মালয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করতে করেছে লাল-সবুজ দল। আগের ম্যাচ ৬ গোলে জিতলেও রবিবার স্বাগতিকদের আটকে দিয়েছে অতিথিরা। তাই ১-০তে সিরিজ জিতলেও আফসোস রয়ে গেছে বাংলাদেশ শিবিরে। যা ভবিষ্যতের জন্য কাজে দেবে।
দেশকণ্ঠ/আসো
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।