• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:১৯

স্বস্তির খোঁজে হাতিরঝিলে বিনোদনপ্রেমী

  • জাতীয়       
  • ১৩ জুলাই, ২০২২       
  • ১৩৪
  •       
  • ১৩-০৭-২০২২, ১০:২৫:০৫

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ঈদ মৌসুমে হাতিরঝিলে বিনোদনপ্রেমীদের ভিড় থাকে বরাবর। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না হতেই হাতিরঝিলে একটু স্বস্তির খোঁজে জড়ো হতে থাকেন ভ্রমণ পিপাসুরা। বিনোদনপ্রেমীদের কেউ হাঁটছেন, আবার কেউ মৃদু বাতাস উপভোগ করছেন, কেউ কেউ সবুজ গাছের ছায়া কিংবা ঘাসের উপর বসে আছেন। কেউ কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে ওয়াটার বাসে ভ্রমণ করছেন। ১২ জুলাই বিকেল ৩টায় হাতিরঝিল গিয়ে দেখা যায়, দর্শনার্থীদের সংখ্যা একেবারেই কম। তবে বেলা ৫টার পর থেকে রোদের তেজিভাব কমার পর গুলশান, বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও এবং মধুবাগ এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে হাতিরঝিলে জড়ো হন বিনোদনপ্রেমীরা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সীরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। বিকেল ৬টার পর লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় হাতিরঝিল।
 
বিপুল পরিমাণ জনসমাগমের কারণে ব্যস্ত সময় পার করছেন হাতিরঝিলের ব্যবসায়ীরা। বাদাম, ঝালমুড়ি, চানাচুর, পানি, বিভিন্ন রকম ফুলের মালা নিয়ে হকারদের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে। উত্তরা থেকে মামার সঙ্গে হাতিরঝিলে আসা আশিকুর রহমান বলেন, আজকে আইসক্রিম খেয়েছি, বাসে চড়েছি, আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। ঈদ ঈদ লাগছে। স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ঘুরতে আসা সিমুল হাওলাদার বলেন, অফিস-বাসার ঝামেলায় সচরাচর ঘুরতে বের হতে পারি না। আজকে বের হয়েছি ৪টার দিকে, প্রথমে বাস দিয়ে পুরো হাতিরঝিলে ঘুরে দেখেছি। তারপর ওয়াটার টেক্সিতে চড়েছি। এখন বিশ্রাম নিচ্ছি। হাতিরঝিলে উত্তর পূর্ব কর্নারের মাঠে বাচ্চাকে নিয়ে ফুটবল খেলছেন আনিসুর রহমান। তিনি বলেন, কোরবানির কারণে প্রথম দুদিন বের হতে পারিনি। আজকে ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে বের হয়েছি। ফাঁকা মাঠ পেয়ে ছেলের সঙ্গে ফুটবল খেলছি।
 
তার পাশে থাকা এনামুল হক বলেন, আমার ছেলে মিন্টু, হাতির ভাস্কর্যের ওপরে চড়েছে, নৌকা (ওয়াটার বাস) চড়েছে অনেক আনন্দ করছে। ওদের দেখে আমাদেরও ভালো লাগছে। মতিঝিল থেকে আসা ইশতিয়াক বলেন, পরিবারের সবার সাথে প্রথমবার হাতিরঝিল এসেছি। মৃদু বাতাস, ফাঁকা জায়গা, চমৎকার আবহাওয়ার। এক কথায় এখানে এসে খুব ভালো লাগছে। ঢাকার মধ্যে বা কাছাকাছি এ রকম পরিবেশ তেমন দেখা যায় না। বাড্ডার সামসুন্নাহার বলেন, হাতিরঝিলের পাশেই আমার বাসা। ফলে নিয়মিত এখানে ঘুরতে আসি। আমার কাছে বেশ ভালো লাগছে। কাঁঠালবাগান থেকে হাতিরঝিলে ঘুরতে আসা জাহিদ বলেন, এখানে এসে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে নৌ-ভ্রমণ। হাতিরঝিলের আইসক্রিম বিক্রেতা বলেন, গতকালের চেয়ে আজকে লোক বেশি। বিক্রিও বেশি হচ্ছে। সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে রেস্টুরেন্টগুলোও  জমজমাট হয়ে ওঠেছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।