দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ঈদের সময় যেসব মানুষ ছুটি পাননি, তারা আজ ঢাকা ছাড়ছেন। পাশাপাশি ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানীতে আজও বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ফিরছেন মানুষ। ঈদের ছুটিতে গ্রামে না যাওয়া মানুষদের মধ্যে রয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, হাসপাতালের বিভিন্ন স্তরে কাজ করা মানুষ, ব্যাংকারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। শিফটিং ডিউটির কারণে একদল ঈদ করে কর্মস্থলে ফিরছে। আরেক দল গ্রামে যাচ্ছে। ১৩ জুলাই সকালে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় গত দু’একদিন থেকে আজ কিছুটা বেশি। কিছু কিছু ট্রেন বিলম্বে আসায় যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষা করতেও দেখা গেছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বুধবার ৪১ জোড়া ট্রেন আসা-যাওয়া করবে। ট্রেনগুলোতে ঢাকায় ফেরা যাত্রীর তুলনায় ছেড়ে যাওয়া যাত্রীদের সংখ্যাও কম নয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত ১৬টি ট্রেন ছেড়ে গেছে এখান থেকে। রংপুর এক্সপ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রী মানিক রহমান। তিনি বলেন, তিন দিন ঘুরেও ঈদের আগে টিকিট পাইনি। তারপরও যানজটের কথা চিন্তা করে বাচ্চাদের নিয়ে বাসে যাইনি। বাসে গেলে গরমে, জ্যামে খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়। বগুড়ার ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থাকা মমিনুল বলেন, ঈদের আগে অনেক ঝামেলা হয় বলে বাড়ি যাইনি। তাই ঈদের পরে ছুটি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। ট্রেন বিলম্ব ছাড়া অন্য কোনও ঝামেলা নেই। কোনও ভোগান্তি ছাড়াই যেতে পারছি।
একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী মজিব উল্লাহ বলেন, বাসে গেলে অনেক বড় জ্যামে পড়তে হয়, কষ্ট হয়। ঈদের আগে ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য অনেকবার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পাইনি। তাই আর বাড়িতে যাওয়া হয়নি। এখন বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট নিয়ে অপেক্ষা করছি। ঘরেফেরা মানুষের অনেকে যাচ্ছেন পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তেমনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রংপুরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন কামরুল হাসান। তিনি বলেন, সাধারণত ঢাকাতেই ঈদ করি। ঈদের পর সবাই তো বেড়াতে যায় তাই আমরাও যাচ্ছি। বাসে গেলে জ্যামে পড়তে হয়, আবার বাচ্চা নিয়ে যাওয়াও মুশকিল। তাই ট্রেনে যাচ্ছি।
টাঙ্গাইলে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন শাম্মী রহমানসহ দুই পরিবারের ১৬ জন। শাম্মী রহমান বলেন, ঈদে কোথাও যাইনি। তাই এখন আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছি। এবার রাজশাহী আত্মীয়ের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছি। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, সকাল থেকে ঢাকার বাইরে যাওয়ার যাত্রী স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। ঢাকায় ফেরা যাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে। আগামী শুক্রবার ও শনিবার (১৫ ও ১৬ জুলাই) ঢাকায় ফেরা যাত্রীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হবে। তিনি বলেন, ঢাকামুখী মানুষের চাপ যেমন বেড়েছে, তেমনি ঈদের পরে ঢাকার বাইরে যাওয়া মানুষের চাপও রয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ