দেশকন্ঠ ডেস্ক : বেশ কয়েকদিন ধরে সারাদেশে প্রচণ্ড গরম পড়ছে। এই গরমে মাছ চাষিদের সতর্ক হওয়া দরকার। তবে তাদের করণীয় কি সে বিষয়ে বেশিরভাগ মাছ চাষিরাই জানেন না। জেনে নিন প্রচণ্ড গরমে মাছ চাষিরা যেভাবে মাছের যত্ন নেবেন।
মাছ চাষের আদর্শ তাপমাত্রা ২৪-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু এখন এর চেয়ে বেশি তাপপ্রবাহ চলছে। তাপমাত্রা অত্যাধিক বেশি থাকলে পুকুরের পানিতে অক্সিজেন দ্রবীভূত থাকার পরিমাণ অনেক কমে আসে। গরমের কারণে পুকুরের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে মাছের প্রাকৃতিক খাদ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তীব্র গরমের ফলে মাছ চাষের পুকুরে অক্সিজের সংকট দেখা দিতে পারে। এ সময়ে মাছ ভেসে ওঠে। এছাড়াও পরিবেশগত চাপ সহ্য করতে না পেরে মাছ মারাও যেতে পারে।
মাছ ভেসে উঠলে কিছু কৌশল প্রয়োগ করতে হবে। সকালে মাছ ভাসলে প্রতি শতকে ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম চুন প্রয়োগ করতে হবে। আবার দুপুরের পর ভাসলে একই হারে লবণ প্রয়োগ করতে হবে। তাহলে রাসায়নিক সমস্যা থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যাবে। এ সময় বিশেষ পরিচর্যার মধ্যে অন্যতম হলো মাছের খাবার কমিয়ে আনতে হবে। পরিমিত খাবার দিতে হবে। হররা টেনে পুকুরের তলার গ্যাস বের করে দিতে হবে। এটি মাছ চাষের অত্যাবশ্যকীয় একটি করণীয়।
অক্সিজেনের ঘাটতির জন্য প্রতি শতকে অক্সিজেন ট্যাবলেট প্রয়োগ করা যেতে পারে। তবে এটি খুবই ব্যয়বহুল। সম্ভব হলে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। ১৫ দিন অথবা ১ মাসের মধ্যে পানি প্রবেশ করানো খুব ভালো। কিন্তু এখন অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে এটি সম্ভব হচ্ছে না। তাই পুকুরে মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। যেন দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা যায়।
স্থায়ী সমাধান হিসেবে এরেটর সেট করতে হবে। এছাড়াও পুকুরে সেচের মাধ্যমে পানি প্রবেশ করানো যেতে পারে। গরমে মাছ চাষে বিশেষ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করলেই অনেকাংশে দুর্ঘটনা কমানো যায়। মাছ চাষে বছরব্যাপী পরিকল্পনা রাখতে হবে। তাহলে এসব সমস্যা হবে না।
দেশকন্ঠ/রাসু