দেশকণ্ঠ ডেস্ক : ভারতের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ভোটদান প্রক্রিয়া ২১ জুলাই বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। আইনসভার উভয় কক্ষের সদস্যরা দেশের ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য তাদের ভোট দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু বিরোধীদলের মনোনীত প্রার্থী সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহার বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
ঝাড়খন্ডের আদিবাসী নারী দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি পদে খুব সহজেই বিজয় লাভ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি ইতিমধ্যে শিবসেনা, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা, বিজু জনতা দল, শিরোমণি আকালি দল, জেএমএম ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টিসহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের সমর্থন পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, কংগ্রেস প্রধান সোনিয়া গান্ধী ও বেশিরভাগ সংসদ সদস্য সংসদ ভবনে ১৮ জুলাই সকালে তাদের ভোট দিয়েছেন। এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, যোগী আদিত্যনাথ, ননীব পাটনায়েক, এম কে স্ট্যালিন এবং ভূপেন্দ্র প্যাটেল সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তাদের নিজ নিজ রাজ্য বিধানসভায় ভোট দিয়েছেন।
আগামী ২১ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ভোট গণনা করা হবে এবং ক্ষমতাসীন রামনাথ কোভিন্দ তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে পদত্যাগ করবেন একদিন পর নতুন রাষ্ট্রপতি ২৬ জুলাই শপথ নেবেন।
ভারতের রাষ্ট্রপতি একটি ইলেক্টোরাল কলেজের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন, যা উভয় কক্ষের সংসদ সদস্যগণ এবং সকল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইনসভার আইনপ্রণেতাদের নিয়ে গঠিত। তবে মনোনীত সদস্যরা ভোট দিতে পারেন না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ইলেক্টোরাল কলেজ লোকসভার ৫৪৩ জন, রাজ্যসভার ২৩৩ জন এবং আইনসভার ৪ হাজার ৩৩ জন সদস্য নিয়ে গঠিত।
দেশকণ্ঠ/আসো