দেশকন্ঠ ডেস্ক : রেকর্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে যুক্তরাজ্যে দেখা দিয়েছে একাধিক দাবানল। লন্ডনে ফায়ার সার্ভিসের চার শতাধিক কর্মী মঙ্গলবার বিকেলে শুরু হওয়া অন্তত ৯টি দাবানলের আগুন নেভানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাপদাহ থেকে সৃষ্ট আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে তাদের। এ পরিস্থিতিকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন দমকল কর্মীরা। খবর বিবিসির।
যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, লন্ডনে এই প্রথম তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার লিঙ্কনশায়ারের কনিংসবিতে ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এর আগে ২০১৯ সালে কেমব্রিজ শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমকল বিভাগ বলছে, লন্ডন শহরের বিভিন্ন স্থানে কয়েক ডজন অগ্নিনির্বাপক মেশিন বসানো হয়েছে। পূর্ব লন্ডনের গাছপালায় লাগা আগুন নেভাতে অন্তত ৩০টি গাড়ি পাঠানো হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে দমকল বিভাগে যোগাযোগ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
পূর্ব লন্ডনের ওয়েনিংটনে তৃণভূমিতে শুরু হওয়া দাবানল পাশের একটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এটি নিয়ন্ত্রণ করেন ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ১০০ কর্মী। অগ্নিকাণ্ডের কাছাকাছি কিছু বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তারা জানান, সেখানে অন্তত আটটি বাড়ি এবং একটি গির্জা পুড়ে গেছে। ঘটনাস্থলের ছবিতে দেখা গেছে, বেশ কয়েকটি ভবন থেকে ধোঁয়া উড়ছে। কয়েকটি বাড়ির ছাদ ধসে পড়েছে এবং আশপাশের জমিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অতিরিক্ত তাপের কারণে রেললাইন গরম হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে কিছু ট্রেন বাতিল হয়েছে। কিছু স্কুলে আগাম ছুটি দেওয়া হয়েছে। সড়কে জমে থাকা বরফ গলে যাওয়া ঠেকাতে বালু ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এছাড়া বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ায় ইয়র্কশায়ার, লিংকনশায়ার ও উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের প্রায় ৮ হাজার স্থাপনা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। লন্ডন ফায়ার ব্রিগেড জানিয়েছে, সব দিক থেকেই আগুনের খবর পাওয়ার পর একে ‘বড় দুর্ঘটনা’ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া লিসেস্টারশায়ার, ইয়র্কশায়ার, লিংকনশায়ার, হার্টফোর্ডশায়ার, সাফোক এবং নরফোকে ফায়ার সার্ভিসও একে ‘বড় দুর্ঘটনা’ বলে ঘোষণা করেছে। এদিকে তীব্র গরমে হ্রদ ও নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে শনিবার থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশকন্ঠ/রাসু