দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, মেহেরপুরের মাছ অন্য জেলার মানুষের প্রোটিন চাহিদা মেটাবে। তাই এ জেলার খাল বিলগুলো পুনঃখনন করতে হবে। ২৪ জুলাই জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠনে ভার্চুয়াল জুম প্লাটফর্মে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেহেরপুর জেলার মৃতপ্রায় ভৈরব নদ ও স্বরস্বতী খাল পুনঃখনন করার কারণে সেখান এখন বছরজুড়ে মাছ পাওয়া যাচ্ছে। কেউ যেন ভৈরবসহ পুনঃখনন করা নদ-নদীতে পাটজাগ না দেয় তা খেয়াল রাখতে জেলা প্রশাসনকে তদারকির নির্দেশ দেন। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভা ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রোকনুজ্জামান, মৎস্যচাষী খুদিরাম হালদার, মজিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনা শেষে জেলায় মৎস্য সেক্টরে বিশেষ অবদান রাখায় ৪ জনকে পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত মৎস্য চাষীরা হলো- কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষে মেহেরপুর পৌরশহরের মো. কামাল হাসান ও মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম, পুকুরে পাঙ্গাস মাছ চাষে গাংনী উপজেলার সানঘাট গ্রামের মো. মজিরুল ইসলাম, সমাজ ভিত্তিক মাছ চাষে সদর উপজেলার পাটকেলপোতা গ্রামের মো. শরিফুল ইসলাম।
এদিকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের নেতৃত্বে একটি র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে এসে শেষ হয়। পরে ভৈরব নদের পন্ডের ঘাটে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এছাড়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে মৎস্য সেক্টরে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও সাফল্য বিষয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ করা হয়।
দেশকন্ঠ/রাসু