• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:০৩

যৌন নিপীড়নকারী ও ঠকবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু

  • আন্তর্জাতিক       
  • ২৭ জুলাই, ২০২২       
  • ১৫৭
  •       
  • ২৭-০৭-২০২২, ১৫:১৩:৪২

দেশকণ্ঠ ডেস্ক : অভিবাসীদের নিরাপদ রাজ্য নিউইয়র্ক হলেও এই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি শ্রমিক ঠকে বা তাদের ঠকানো হয়। আন ডকুমেন্টেড বা অবৈধ অভিবাসীদের প্রিয় রাজ্য তথা শহর নিউইয়র্কে তারা সকলে শ্রমের পর্যাপ্ত মর্যাদা পান-এমন কথা বলা যাবে না। বরং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা অপেক্ষাকৃত কম দেয়া হয়। আবার কখনও তা প্রদানও করা হয়না। এসব ঘটনা দিনদিন বাড়ছে, একইসঙ্গে বাড়ছে অভিযোগও। অভিযোগের মধ্যে নারী কর্মচারীদের প্রতি অশোভন আচরণ বা যৌন নিপীড়ণের অভিযোগও বাড়ছে। বিশেষ করে নিউইয়র্ক শহরে এই অভিযোগ সহনীয় সীমারেখা অতিক্রম করেছে অনেক আগেই।    
 
কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানে অনিয়ম ও জালিয়াতি বন্ধের লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে নিউইয়র্ক স্টেট। ইতোমধ্যে ব্রুকলিনের বাংলাদেশি এক রেস্টুরেন্ট মালিকসহ ১২ জন ব্যবসায়ীকে ‘ফেলোনী কনভিকশন’ হিসেবে  শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তারা গত দেড় বছরে ৩০ লাখ ডলার কর্মচারিদের ঠকিয়েছেন। তাদেরকে নূন্যতম মজুরি পর্যন্ত দেয়া হয়নি। গত বুধবার স্টেট গভর্নর ক্যাথি হোকুল ও এটর্নি জেনারেল লেটিটা জেমস অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনার কথা ঘোষণা করেন। 
 
এই দায়িত্বে নিয়োজিত ‘স্টেট ওয়েজ থেফ্ট টাস্কফোর্স’ ইতোমধ্যেই ১২ জন ব্যবসায়ীকে চিহ্নিত করেছে। যারা ২৬৫ জন কর্মচারিকে যথাযথ বেতন প্রদান না করে অপরাধ করেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন ব্রুকলিনের একজন বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী। রয়েছেন কয়েকজন কন্সট্রাকশন ব্যবসায়ীও। এ সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিকরা  কাগজপত্রহীন কর্মচারিদের কাজে নিয়োগ দিয়ে তাদেরকে  ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত করেছেন চরমভাবে। কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস এলাকার কিছু সোনার দোকান ও রেষ্টুরেন্টের ওপরও টাস্ক ফোর্সের নজর রয়েছে।  এটর্নি জেনারেল অফিস, ডিপার্টমেন্ট অব লেবার ও স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট এটর্নি জেনারেল অফিসের প্রতিনিধিদের নিয়ে এই টাস্ক ফোর্স গঠিত। টাস্কফোর্স কর্মচারীদের সাথে বেতন নিয়ে প্রতারণা রোধে কাজ করে থাকে। 
 
গভর্নর ক্যাথি হোকুল কুইন্সে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, কেউ যদি তোমার পে-চেক থেকে চুরি করে তার মানে সে চুরি করছে তোমার পকেট থেকেই। এটা আইনের দৃষ্টিতে বড় অপরাধ। স্টেট বেতনভাতা ফাঁকি রোধে কর্মচারীদের জন্য ‘অনলাইন ওয়েজ থেফ্ট রিপোর্টিং’ হটলাইন চালুরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনতিবিলম্বেই তা সাধারনের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
 
তথ্যানুসন্ধান করে দেখেছে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে রেস্টুরেন্ট ও গ্রোসারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের শ্রমের কমমূল্য দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া কুইন্সের স্বর্ণালংকারের দোকানেও বিক্রয় প্রতিনিধিদের শ্রমের মজুরি কম দেওয়া হয়। জ্যাকসন হাইটস, ব্রুকলিন ও জ্যামাইকা এলাকার একাধিক গ্রোসারি মালিকের বিরুদ্ধে নারী কর্মচারিকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিউইয়র্ক সিটির একটি সূত্র জানিয়েছে-কর্মস্থলে যৌন হয়রানীর শিকার হলে ৩১১ হটলাইনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। প্রশাসন দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।   
দেশকন্ঠ/রাসু
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।