• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:১৯

চা-শ্রমিকদের দাবি না মানা পর্যন্ত বিইউজের চা বর্জন

  • জাতীয়       
  • ১৮ আগস্ট, ২০২২       
  • ৭১
  •       
  • ১৮-০৮-২০২২, ০৮:৩২:১৬

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সারা দেশে চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও সব যৌক্তিক দাবি না মানা পর্যন্ত চা পান বর্জনের ডাক দিয়েছে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিইউজে)। বুধবার (১৭ আগস্ট) রাত ১০টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। রাতে এক জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি। বিইউজের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিইউজের সব সদস্যের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে দেশের চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও সব যৌক্তিক দাবি না মানা পর্যন্ত বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে চা পান বর্জন করা হলো।
 
সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ফসল বলেন, বর্তমান সময়ে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে চা-শ্রমিকরা দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করছেন। প্রতিটি পরিবারে খরচ বেড়েছে। মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক সময়ে বাগান-মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও তিন বছর ধরে নানা টালবাহানা করে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। আমরা চাই চা-শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাক, তাই তাদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে আজ রাত থেকে চা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
 
বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইমরান হোসেন টিটু বলেন, এই ডিজিটাল বাংলাদেশে এখনো মাত্র ১২০ টাকা মজুরিতে চা-শ্রমিকদের দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে। এমন মজুরি দাসপ্রথার সমান। বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সব সদস্য ও আগত অতিথিদের জন্য চা দিয়ে আপ্যায়ন করানোর ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু আমরা চা পান বর্জন করেছি। চা-শ্রমিকদের ন্যায্য মূল্য না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সাংবাদিকদের যা ক্রয় ও পান করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। সমাজের আয়না হিসেবে আমরাই প্রথম প্রতিবাদটা শুরু করে চা-শ্রমিকদের পাশে থাকতে চাই। প্রসঙ্গত, চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে সারা দেশে চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। এ বিষয়ে সমঝোতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এবং চা-বাগান মালিকদের মধ্যে বৈঠক চলছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।