দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : সারা দেশে চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও সব যৌক্তিক দাবি না মানা পর্যন্ত চা পান বর্জনের ডাক দিয়েছে বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিইউজে)। বুধবার (১৭ আগস্ট) রাত ১০টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। রাতে এক জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি। বিইউজের সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিইউজের সব সদস্যের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে দেশের চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ও সব যৌক্তিক দাবি না মানা পর্যন্ত বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে চা পান বর্জন করা হলো।
সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ফসল বলেন, বর্তমান সময়ে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে চা-শ্রমিকরা দৈনিক ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে অতি কষ্টে দিন যাপন করছেন। প্রতিটি পরিবারে খরচ বেড়েছে। মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে একাধিক সময়ে বাগান-মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছর মজুরি বাড়ানোর কথা থাকলেও তিন বছর ধরে নানা টালবাহানা করে মজুরি বাড়ানো হচ্ছে না। আমরা চাই চা-শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাক, তাই তাদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে আজ রাত থেকে চা বর্জনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইমরান হোসেন টিটু বলেন, এই ডিজিটাল বাংলাদেশে এখনো মাত্র ১২০ টাকা মজুরিতে চা-শ্রমিকদের দিন-রাত কাজ করতে হচ্ছে। এমন মজুরি দাসপ্রথার সমান। বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সব সদস্য ও আগত অতিথিদের জন্য চা দিয়ে আপ্যায়ন করানোর ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু আমরা চা পান বর্জন করেছি। চা-শ্রমিকদের ন্যায্য মূল্য না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সাংবাদিকদের যা ক্রয় ও পান করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। সমাজের আয়না হিসেবে আমরাই প্রথম প্রতিবাদটা শুরু করে চা-শ্রমিকদের পাশে থাকতে চাই। প্রসঙ্গত, চা-শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে ৯ আগস্ট থেকে সারা দেশে চা-শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। এ বিষয়ে সমঝোতার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খালেদ মামুন চৌধুরী এবং চা-বাগান মালিকদের মধ্যে বৈঠক চলছে।
দেশকন্ঠ/অআ