• মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
    ২৩ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:৪৬

উন্নত চিকিৎসায় সরকারের সহযোগিতা চায় প্রবীর মিত্রের পরিবার

  • বিনোদন       
  • ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫       
  •       
  • ০৫-০১-২০২৫, ২২:০২:১১

পথরেখা  অনলাইন : বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবীণ অভিনেতা প্রবীর মিত্রের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। বর্তমানে তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শরীরে অক্সিজেন স্বল্পতাসহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।

গত ২২ ডিসেম্বর তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার অবস্থার অবনতি হচ্ছে। জনপ্রিয় এই অভিনেতার চিকিৎসার খরচের জন্য সরকারি সহায়তা চায় তার পরিবার।

এ বিষয়ে প্রবীর মিত্রের ছোট ছেলে সিফাত ইসলাম বলেন, ‘সরকার থেকে শিল্পী সমিতি আমরা কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। সমিতির মাধ্যমে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি, কিন্তু সমিতির কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, বিষয়টি রাষ্ট্র দেখুক। অর্থ সহায়তা নয়, তার উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করার সুযোগ থাকলে তা হোক। এই চলচ্চিত্রের জন্য উনি অনেক দিয়েছেন। আমরা চাই, জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি সেই সম্মানটা পান।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অঞ্জনা আন্টি মারা গেলেন। তার জানাজায় এফডিসিতে অনেকেই গেছেন। এমন অনেকের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি আমরা। আর বাবার সঙ্গে যাদের যোগাযোগ ছিল, তাদের অনেকেই দেশের বাইরে, দেশে যারা আছেন, তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই।’

সিফাত ইসলাম আরো বলেন, ‘বাবার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। বার্ধক্যজনিত কিছু শারীরিক জটিলতায় গত ২২ ডিসেম্বর বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার শরীর অক্সিজেন পাচ্ছিল না। এরপর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখান থেকে কেবিনে দেওয়া হয়েছিল। এখন আবার তাকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে। তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। খারাপ অবস্থার দিকে যাচ্ছে। তার ব্লাড লস হচ্ছে, প্লাটিলেটও কমে যাচ্ছে।’

প্রবীর মিত্র ১৯৪৩ সালের ১৮ আগস্ট কুমিল্লার চান্দিনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পুরান ঢাকায় বেড়ে উঠেছেন। তার পুরো নাম প্রবীর কুমার মিত্র। স্কুলজীবন থেকেই তিনি নাট্যচর্চায় যুক্ত হন। স্কুলের ছাত্রাবস্থায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন প্রবীর মিত্র।

১৯৬৯ সালে নির্মিত ‘জলছবি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার যাত্রা শুরু হয়। প্রয়াত এইচ আকবর পরিচালিত ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭১ সালের ১ জানুয়ারি।

প্রবীর মিত্র অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে, ‘ফরিয়াদ’, ‘রক্ত শপথ’, ‘চরিত্রহীন’, ‘জয় পরাজয়’, ‘অঙ্গার’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘জীবন তৃষ্ণা’, ‘সেয়ানা’, ‘জালিয়াত’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘তরুলতা’, ‘গাঁয়ের ছেলে’, ‘পুত্রবধূ’ ‘মধুমিতা’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘অলংকার’, ‘অনুরাগ’, ‘প্রতিজ্ঞা’।

প্রায় চার শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেতা। নান্দনিক অভিনয়ের জন্য বরাবরই প্রশংসিত প্রবীর মিত্র। কিন্তু দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার পুরস্কার ভাগ্য প্রসন্ন নয়। কেবল ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব চরিত্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

পরবর্তীতে ২০১৮ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।