• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:২৭

কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : দীর্ঘ তিনমাস ১৭ দিন বন্ধ থাকার পর কাপ্তাই হ্রদে আবারো মৎস্য আহরণ শুরু হয়েছে। মৎস্য আহরণের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ার পর কাপ্তাই হ্রদে আজ থেকে পুরোদমে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ। বুধবার মধ্যরাত থেকে আবারো মৎস্য আহরণ শুরু হওয়ায় খুশি মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেরা। রাঙ্গামাটির মৎস্য ব্যবসায়ী উদয়ন বড়ুয়া বাসসকে বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর হ্রদে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় আমরা অত্যন্ত খুশি। আশা করছি এবার হ্রদে আগের তুলনায় আরো অনেক বেশী মাছ আহরণ করতে পারবো।
 
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক লে. কমান্ডার তৌহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) জানান, কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায়  আবারো পুরোদমে হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হয়েছে। তিনি জানান, এবার হ্রদের পানি কম থাকায় মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা হয়। বর্তমানে হ্রদের পানি বাড়ায় সার্বিক দিক বিবেচনা করে এখন হ্রদে মাছ আহরণ শুরু হয়েছে। তিনি নিয়ম মেনে হ্রদে মাছ আহরণের জন্য মৎস্য ব্যবসায়ী ও জেলেদের প্রতি আহবান জানান।
 
রাঙ্গামাটি বিএফডিসির তথ্যমতে, গত বছর কাপ্তাই হ্রদে ১৭ হাজার ৮৭০ টন মৎস্য আহরিত হয় এবং সেখানে সরকারি রাজস্ব আদায় হয় প্রায় ১১ কোটি ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। এবার ২০২২ সালে কাপ্তাই হ্রদে ৬৪ টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এবার প্রত্যাশিত পরিমাণে মাছ আহরণের মাধ্যমে গতবারের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা বিএফডিসি কর্তৃপক্ষসহ সাধারণ ব্যবসায়ীদের।
 
উল্লেখ্য,১৯৬০ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কর্ণফুলী নদীর ওপর বাঁধ দেয়া হয়। এতে ৭২৫ বর্গকিলোমিটার দৈর্ঘর এশিয়ার সবচেয়ে বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদ সৃষ্টি হয়। এই হ্রদে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন প্রায় ২৫হাজার জেলে পরিবার।
দেশকণ্ঠ/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।