• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:২৭

উদযাপন হবে জাতীয় সংসদের ৫০ বছরপূর্তি আসবেন বিদেশি অতিথিরা

  • জাতীয়       
  • ২১ আগস্ট, ২০২২       
  • ৭০
  •       
  • ২১-০৮-২০২২, ২১:৫২:১৩

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : আগামী বছরের এপ্রিলে পূর্ণ হবে জাতীয় সংসদের পথচলার ৫০ বছর। এ উপলক্ষে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সঙ্গে যৌথভাবে বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। তবে এপ্রিল মাসে রমজান হওয়ায় পরের মাস থেকে শুরু হবে উদযাপন। অনুষ্ঠানে সিপিএভুক্ত পার্লামেন্টগুলোর স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী লন্ডন সফরে গিয়ে সিপিএ’র সেক্রেটারি জেনারেল স্টিফেন টুইগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। স্টিফেন টুইগ পঞ্চাশ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে সিপিএ’র সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন।
 
 
সংসদের লাইব্রেরিতে থাকা নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, স্বাধীন বাংলাদেশের গণ-পরিষদের প্রথম অধিবেশন ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল ঢাকার তেজগাঁও সংসদ ভবনে শুরু হয়। গণ-পরিষদের প্রথম স্পিকার নির্বাচিত হন শাহ আব্দুল হামিদ এবং ডেপুটি স্পিকার মুহম্মদুল্লাহ। স্পিকার শাহ আব্দুল হামিদ মৃত্যুবরণ করায় ডেপুটি স্পিকার মুহম্মদুল্লাহ পরবর্তীসময়ে স্পিকার এবং মো. বয়তুল্লাহ ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোববার (২১ আগস্ট) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে তার কার্যালয়ে জাগো নিউজকে বলেন, আগামী বছরের এপ্রিল মাসে সংসদের ৫০ বছর পূর্ণ হবে। কিন্তু সে মাসে রমজান থাকবে। তাই পরবর্তী মাস থেকে আমরা ৫০ বছর উদযাপন শুরু করবো। এটি বছরব্যাপী করার পরিকল্পনা রয়েছে।
 
সংসদের যুগ্ম-সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ জাগো নিউজকে বলেন, সম্প্রতি স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী লন্ডন সফরকালে সিপিএ’র সেক্রেটারি জেনারেল স্টিফেন টুইগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। স্টিফেন টুইগ এসময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছরপূর্তি অনুষ্ঠানে সিপিএ’র সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, এর আগে বাংলাদেশ পার্লামেন্টের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্পিকার লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার ভবনে হাউস অব কমন্সের স্পিকার লিন্ডসে হোয়েলে কে আমন্ত্রণ জানান। স্পিকার লিন্ডসে হোয়েলে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন এবং সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
 
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জাতীয় সংসদে ১৫টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৩১৫। এই সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ঢাকার তেজগাঁও জাতীয় সংসদ ভবনে, ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ১৫টি থেকে ৩০টিতে উন্নীত করা হয়। এতে সংসদের মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩০। ১৯৭৯ সালের ২ এপ্রিল দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। ১৯৮৬ সালের ৭ মে তৃতীয় জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংরক্ষিত ৩০টি নারী আসনসহ সংসদের সদস্য সংখ্যা ছিল মোট ৩৩০। প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ১০ জুলাই।
 
চতুর্থ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন হয় ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ। ২৫ এপ্রিল সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এ সংসদে মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৩০০। সংরক্ষিত ৩০টি নারী আসন সংক্রান্ত আইনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় কোনো সংরক্ষিত নারী সদস্য ছিলেন না। ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং ৫ এপ্রিল প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। এ সংসদে মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৩৩০ জন। কারণ নারীদের জন্য ৩০টি সংরক্ষিত আসন সংক্রান্ত আইন হওয়ায় পঞ্চম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সংসদ-সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে পুনরায় ৩০ জন নারী সদস্য নির্বাচিত হন। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ১৯ মার্চ। ৩০টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৩৩০টি। সপ্তম জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালের ১২ জুন। প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ১৪ জুলাই।
 
অষ্টম জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর এবং প্রথম অধিবেশন শুরু হয় একই বছরের ২৮ অক্টোবর। এ সংসদের শুরুতে মোট আসন সংখ্যা ছিল ৩০০টি। কারণ সংরক্ষিত ৩০টি নারী আসন আইনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অষ্টম সংসদের শুরুতে কোনো সংরক্ষিত নারী আসন ছিল না। পরে চতুর্দশ সংশোধনী, ২০০৪ পাসের মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ৩০টি থেকে ৪৫টিতে উন্নীত করা হয়। এতে সংসদে মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪৫ জনে। এই আইন প্রবর্তনকালে অষ্টম সংসদের অবশিষ্ট মেয়াদের জন্য এবং অষ্টম সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে শুরু করে ১০ বছরকাল অতিবাহিত হওয়ার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভেঙ্গে না যাওয়া পর্যন্ত ৪৫টি আসন কেবল নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়। সরাসরি নির্বাচিত সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়।
 
নবম জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। ৩০ জুন ২০১১ তারিখে সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ৪৫টি থেকে ৫০টিতে উন্নীত করা হয়। ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনসহ নবম সংসদের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৩৫০টি। দশম জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। প্রথম অধিবেশন শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। সংবিধানের (সপ্তদশ সংশোধন) আইন, ২০১৮ দ্বারা দশম সংসদের অব্যবহিত পরবর্তী সংসদের অর্থাৎ একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে শুরু করে পঁচিশ বছর অতিবাহিত হওয়ার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত ৫০টি আসন কেবল নারী সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়।
 
একাদশ জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। আর অধিবেশন শুরু হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। বর্তমান জাতীয় সংসদ ভবনের কাজ ১৯৬১ সালে শুরু হয়। ৯ তলার ভবনটি ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়। দৃষ্টিনন্দন এ ভবনের নকশা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত স্থপতি লুই আই কান। ১১টি সংসদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ পাঁচবার ক্ষমতায় এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ক্ষমতায় এসেছে চারবার। বর্তমানের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় ছিল দুবার।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।