• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২৫

নওগাঁয় রঙিন মাছচাষে ব্যাপক সাফল্য

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : জেলায় বাণিজ্যিকভাবে রঙিন মাছের রেণু পোনা উৎপাদন এবং বিপণন করে লাভবান হয়েছেন সাইদুর রহমান নামের এক মৎস্য হাচারি ব্যবসায়ী। অন্যান্য মাছের থেকে রঙিন মাছের পোনা উৎপাদন করে অধিক লাভবান হয়েছেন তিনি। লাভবান হওয়ার আশায় এখান থেকে পোনা নিয়ে নিজ-নিজ পুকুরে রঙিন মাছ চাষ করছেন অন্যান্য পুকুর মালিকরাও। নওগাঁর প্রথিতযশা একজন মৎস্যচাষী সাইদুর। যিনি মাছ চাষ করে জিরো থেকে হয়েছেন হিরো। বর্তমানে তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত মৎস্যচাষী। অর্জন করেছেন জেলা বিভাগ এবং জাতীয় পুরস্কার। তিনি রাণীনগর উপজেলার নলামারা খালের স্লুইসগেট এলাকায় ২০ বিঘা জলাবিশিষ্ট একটি পুকুরে প্রাকৃতিকভাবে রঙিন মাছের রেনু পোনা উৎপাদন শুরু করেছেন। পুকুরেই প্রাকৃতিকভাবে মা মাছ থেকে রঙিন মাছের রেণু পোনা উৎপাদন করছেন। বাণিজ্যিকভাবে সেসব পোনা অন্যান্য মৎস্যচাষীদেরকাছে বিক্রিও শুরু করেছেন। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে ওই জলাশয় থেকে নিট মুনাফা করেছেন প্রতিবছর ৫ লাখ টাকা।
 
রঙিন মাছের পোনা উৎপাদনের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে অন্যান্য মাছ চাষিদের মধ্যে ব্যপক সাড়া পড়ে। তারা এখান থেকে রঙিন মাছের পোনা সংগ্রহ করে নিজেদের পুকুরে রঙিন মাছ শুরু করেছেন। অন্য মাছের থেকে এই মাছ চাষ করে অধিক লাভবান হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা। স্বাভাবিক অন্য মাছের চেয়ে রঙিন মাছের চাহিদা বেশী বলে এসব মৎস্যচাষিরা ইতিমধ্যেই অনুভব করেছেন এবং সেই অনুভব থেকেই তাদের পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে রঙিন মাছের চাষে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
 
মাছের পরিচর্যা করতে কর্মসংস্থান হয়েছে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের। তারা এখানে শ্রম দিয়ে প্রাপ্ত মজুরী দিয়ে তাদের সংসারের প্রাত্যহিক ব্যয় নির্বাহ করতে সক্ষম হয়েছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. এমামুল এহসান জানিয়েছেন, ‘উক্ত সাইদুর রহমানের রঙিন মাছের রেনু পোনা উৎপাদনে সাফল্যের বিষয়টি মৎস্য বিভাগ অবহিত রয়েছে। বর্তমানে বাজারে রঙিন মাছ খাওয়াসহ অ্যাকুইরিয়ামে প্রদর্শনের জন্য বিশেষ চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। কাজেই মৎস্য বিভাগ এ ক্ষেত্রে বিশেষ উৎসাহ প্রদান করছে।’ তারই ধারাবাহিকতায় সাইদুর রহমানসহ অন্য যারা এই মাছ চাষে আগ্রহী তাদের সব রকমের সহযোগিতা দেয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। নওগাঁ জেলা এমনিতেই মৎস্য চাষে উদ্বৃত্ত জেলা হিসেবে পরিচিত। গতানুগতিক মাছ চাষের পাশাপাশি রঙিন মাছ চাষীদের আগ্রহ জেলাকে এক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
দেশকণ্ঠ/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।