• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:২৪

‌‘আমার বাবা রেপিস্ট’ লিখে ১০ তলা থেকে মেয়ের লাফ

  • জাতীয়       
  • ২৮ আগস্ট, ২০২২       
  • ৬৩
  •       
  • ২৮-০৮-২০২২, ০৯:০০:৩০

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন মোল্লারটেক এলাকায় একটি ১০ তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী। শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে দক্ষিণখান থানা পুলিশ নিশ্চিত করেছে। দক্ষিণখান থানা সূত্রে জানা যায়, আত্মহত্যার আগে মেয়েটি তার বাবা শাহীন ইসলামের বিরুদ্ধে একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন।
 
সুইসাইড নোটে তিনি লিখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। একটা ঘরে পশুর সাথে থাকা যায়। কিন্তু অমানুষের সাথে না। একজন অত্যাচারী রেপিস্ট যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা।’ বিষয়টি নিশ্চিত করে দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল হক মিয়া বলেন, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। প্রথমে পরিবার বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে লুকিয়ে ফেলতে চেয়েছিল। তারা প্রথমে তাকে আহত অবস্থায় উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ নিয়ে যায়। সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ না রাখায় পঙ্গু হাসপাতালের নিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় মেয়েটি মারা যায়। পরে তার মা বিকেলে মরদেহ থানায় নিয়ে আসেন। পরে মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
 
তিনি বলেন, আত্মহত্যার আগে মেয়েটি তার বাবা শাহিন ইসলামের বিরুদ্ধে একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন। সুইসাইড নোটে মেয়েটি তার বাবাকে রেপিস্ট হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। আমরা সুইসাইড নোটটি যাচাই-বাছাই করছি। ঘটনার পর থেকে মেয়েটির বাবা পলাতক। তাকে আমরা আটকের চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের হয়নি বলেও তিনি জানান। দক্ষিণখানা সূত্রে আরও জানা যায়, ভিকটিম তার মা ও ছোট ভাইসহ দক্ষিণখানের মোল্লারটেক এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। ফ্ল্যাটটি ভিকটিমের মামা কিনে দিয়েছিল।
 
গত ৫-৬ মাস আগে ভিকটিম জানতে পারেন তার বাবা ৫ বছর আগে আরও একটি বিয়ে করেছেন। এ বিষয়ে নিয়ে ভিকটিমের মা-বাবার মধ্যে সম্পর্কের চরম অবনতি হয়। এ অবস্থায় ভিকটিমের মা তার বাবাকে ডিভোর্স দেয়। আরও জানা যায়, ডিভোর্স দেওয়ার পরও শাহীন ইসলাম ভিকটিমদের বাসায় যাতায়াত করতেন। যেহেতু ভিকটিমদের পরিবার চালানোর মতো আর্থিক কোনো ব্যবস্থা ছিল না তাই তার বাবা ডিভোর্সের পরেও নিয়মিত টাকা পয়সা দিতেন। সম্প্রতি ভিকটিম তার বাবার কাছে সেমিস্টার ফি’র টাকা চেয়েছিল, কিন্তু শাহীন ইসলাম তা দিতে পারেননি।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।