• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:০৩

এক সপ্তাহে ১০ গরুর মৃত্যু আক্রান্ত অর্ধশত

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কুড়িগ্রামের উলিপুরে গত এক সপ্তাহে ১০টি গরু মারা গেছে। ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে এসব গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। বর্তমানে আরো অর্ধশত গরু এই রোগ আক্রান্ত বলে জানা গেছে। খামারি ও কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের চিকিৎসক না পেয়ে বাধ্য হয়ে তাঁরা গ্রাম্য চিকিৎসক, কবিরাজ ও হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছেন।
 
খামারি ও কৃষক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের কল্যাপাড়া, বজরা ইউনিয়নের খামার বজরা ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের কামাল খামার গ্রামে এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।  দলদলিয়া ইউনিয়নের কল্যাপাড়া ও ঝাকুয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২৫টি ছোট ও মাঝারি খামারের গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ওই গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক মহির উদ্দিন জানান, তাঁর দেড় লাখ টাকা দামের একটি গাভি এ রোগে আক্রান্ত হয়ে শরীরে দুর্গন্ধ দেখা দেওয়ায় সেটি জবাই করে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, যোগাযোগ করা হলেও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কোনো লোক এলাকায় আসেননি। খামারিরা জানান, গত সাত দিনে কল্যাপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের একটি, দেলওয়ার হোসেনের একটি এবং আয়শা বেগমের একটি, খামার বজরা গ্রামের দুলাল মিয়ার একটি, আবুল কালামের একটি এবং মাঝবিল গ্রামের দেলওয়ার মিয়ার একটিসহ ১০টি গরু মারা গেছে।
 
এ ছাড়া কল্যাপাড়া ও ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের আ. মান্নানের তিনটি, আ. বাতেনের তিনটি, আ. গফ্ফারের তিনটি, আ. ছামাদের চারটি, জয়নাল আবেদীনের তিনটি, গোলজার হোসেনের তিনটিসহ প্রায় ৫০টি গরু ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাঁদের অনেকের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই তাঁরা পল্লী চিকিৎসক, কবিরাজ ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের দ্বারস্থ হচ্ছেন, কিন্তু তাঁদের দেওয়া ওষুধে তেমন কাজ হচ্ছে না।
 
উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানায়, উপজেলার প্রায় ১৩ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ওই রোগ দেখা দিয়েছে। এ রোগ প্রতিরোধে সোডা, প্যারাসিটামল এবং টিকা দিতে হবে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রেজওয়ানুল হক জানান, তিনি এ রোগ সম্পর্কে অবগত আছি। এরই মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই, বৃষ্টি অথবা শীত পড়লে এ রোগ কমে যাবে।
দেশকণ্ঠ/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।