• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:২৭

মোশতাকের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে বৈধতা দেন জিয়াউর রহমান

  • জাতীয়       
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২       
  • ৬৫
  •       
  • ২৬-০৯-২০২২, ২১:৫৮:৩৮

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করতে কলঙ্কিত ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারির করা হয় আজকের দিনে (২৬ সেপ্টেম্বর)। খন্দকার মোশতাকের করা এই অধ্যাদেশকে ১৯৭৯ সালে সংসদে আইনি বৈধতা দেন তৎকালিন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। অবশ্য দীর্ঘ ২২ বছর পর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে এই আইন বাতিল করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিনের মতে, এভাবে আইন করে বিচার বন্ধ করা ফৌজদারি অপরাধ।
 
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার বিচার চিরতরে বন্ধ করতে চেয়েছিল খুনি ও তাদের দোসররা। বিচার রুখতে ঐ বছর ২৬ সেপ্টেম্বর ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে খন্দকার মোশতাক। এতে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কারো বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা করা যাবে না। এমনকি সুপ্রিম কোর্ট বা কোর্ট মার্শালেও তাদের বিচার করা যাবে না। অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন জানান, আদেশটিকে আইনে পরিণত করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭৯ সালের ৯ জুলাই সংসদে পাস হয় ইনডেমনিটি আইন। শাস্তির পরিবর্তে পুরস্কৃত করা হয় খুনিদের। দেয়া হয় বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি। এমনকি সংসদেও ছিল তাদের প্রতিনিধিত্ব।
 
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলেন, এই আইনের মাধ্যমে বিচার বিভাগে কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, অধ্যাদেশ জারি ও আইন প্রণোয়নের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তারা ফৌজদারি অপরাধ করেছে। তাদের মুখোশ উন্মোচনের সঙ্গে সঙ্গে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি আইনটি বাতিল করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শেখ হাসিনার সরকার। আর এভাবেই খুলে যায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ। বাঙালি জাতি হয় কলঙ্কমুক্ত।
দেশকণ্ঠ/রাসু

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।