• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৮:২২

মানুষের কারণে মঙ্গলে জমেছে ৭ হাজার কেজিরও বেশি আবর্জনা

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : শত শত বছর আগে সৌরজগত সম্পর্কে ধারণা লাভের পর থেকেই সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তন করা গ্রহ-উপগ্রহের নিয়ে ব্যাপক কৌতুহল ছিল মানুষের। সেসবের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ ছিল মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে। সৌরজগতের ‘লাল গ্রহ’ নামে পরিচিত মঙ্গলের সঙ্গে পৃথিবীর সাদৃশ্যই এ আগ্রহের মূল কারণ। সেই উৎসাহে ভর দিয়েই আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে প্রথমবারের মতো মঙ্গলে নভোযান পাঠায় যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনেটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা)। আগামী ২০৩০ সালে মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সেই গ্রহটিতে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্যও রয়েছে নাসার।
 
যদিও এখনও মঙ্গলে মানুষের পদচিহ্ন পড়তে আরও আট বছর বাকি, কিন্তু তাই বলে মানবসৃষ্ট কারণে মঙ্গলের পরিবেশ দূষণ থেমে নেই। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিক্স বিভাগের পোস্ট ডক্টরাল গবেষক ক্যাগরি কিলিক ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘মঙ্গল গ্রহে বতর্মানে মানবসৃষ্ট আবর্জনা জমেছে ৭ হাজার ১১৮ কেজিরও বেশি। গত ৫০ বছরে মঙ্গল-অভিযানের অংশ হিসেবে পাঠানো বিভিন্ন নভোযান থেকেই উত্তপত্তি এসব আবর্জনার।’ জাতিসংঘের আউটার স্পেস অ্যাফেয়ার্স কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫০ বছরে মঙ্গল গ্রহের উদ্দেশে মোট ১৪টি ভিন্ন ভিন্ন অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে পাঠানো নভোযানের সংখ্যা মোট ১৮টি।
 
২০২২ সালের আগস্টের মাঝামাঝি নাসা ঘোষণা করে, মঙ্গল গ্রহে তাদের পাঠানো পর্যবেক্ষক রোবট পারসিভিয়ারেন্স মার্স রোভার গ্রহটিতে একটি বড় আকারের বাতিল জঞ্জাল খুঁজে পেয়েছে। নাসার ঘোষণায় আরও বলা হয়—কেবল এই জঞ্জালই নয় মঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় আরও যথেষ্ট পরিমাণে নভোযানের ধ্বংস্বাবশেষ ও আবর্জনা দেখতে পেয়েছে প্রিজার্ভেন্স মার্স রোভার। ক্যাগরি কিলিক এনডিটিভিকে বলেন, মঙ্গলে মানবসৃষ্ট আবর্জনা জমছে মূলত বাতিল হার্ডওয়্যার এবং নিষ্ক্রিয় বা ধ্বংসপ্রাপ্ত নভোযানের কারণে। মঙ্গলের পৃষ্টে এ পর্যন্ত যত নভোযান নেমেছে, সেসবের সুরক্ষার জন্য সেসবের প্রতিটির সঙ্গে বিশেষ একপ্রকার মডিউল সংযুক্ত ছিল। অবতরণ সহজ ও নিরাপদ করতে প্রতিটি নভোযানেই হিট শিল্ড ও প্যারাসুটও ছিল। মঙ্গলে নামার পর এসব মডিউল, হিট শিল্ড ও প্যারাসুট আর কোনো কাজে আসে না। সেখানেই পড়ে থাকে সেসব।’
 
এছাড়া এ পর্যন্ত যতন নভোযান পাঠানো হয়েছে মঙ্গলে, সেসবের মধ্যে অন্তত দু’টি গ্রহে নামার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরিত হয়েছে উল্লেখ করে কিলিক বলেন, ‘যেসব আবর্জনা ইতোমধ্যে গ্রহটিতে জমেছে, সেসবের কারণে আগামী অভিযানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’ ‘তাছাড়া বর্তমানে নাসার যে পারসিভিয়ারেন্স রোবটটিকে বর্তমান মঙ্গল অভিযানে পাঠানো হয়েছে, গতিপথে আবর্জনার সঙ্গে ধাক্কা লাগলে সেটিরও ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।’
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।