• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:১৬

কুশিয়ারার পানি নিয়ে সমঝোতার অনুমোদন দিয়েছে ভারতের মন্ত্রিসভা

  • জাতীয়       
  • ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২       
  • ৬০
  •       
  • ২৯-০৯-২০২২, ০৮:৩৬:৪৩

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারে বাংলাদেশ ও ভারতের স্বাক্ষর করা সমঝোতা স্মারক অনুমোদন দিয়েছে ভারতের মন্ত্রিসভা। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এ অনুমোদন দিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম এএনআই। চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরে যে সাতটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে তার একটি হচ্ছে সিলেটের কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহার। এ চুক্তির অধীনে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ নদী কুশিয়ারা থেকে ১৫৩ কিউসেক পানি উত্তোলন করবে বাংলাদেশ।
 
গত ৬ সেপ্টেম্বর দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুই দেশের কর্মকর্তারা সাতটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন। কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারে বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিটি সই করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। ভারতের পক্ষে চুক্তি সই করেন দেশটির জলশক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব পঙ্কজ কুমার। সমঝোতা স্মারকে উভয়পক্ষ শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রত্যাহার পর্যবেক্ষণের জন্য একটি যৌথ মনিটরিং টিম গঠন করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
 
১৯৯৬ সালের গঙ্গা জল চুক্তির পর হওয়া এ চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কুশিয়ারা নদী থেকে ১৫৩ কিউসেক (ঘনফুট প্রতি সেকেন্ড) পানি প্রত্যাহার করতে পারবে, যা সিলেটের কৃষকদের পানি সংকট দূর করবে। এই পানি সরবরাহ থেকে সিলেট অঞ্চলের অনেক এলাকা উপকৃত হবে। তবে সাধারণভাবে যা বোঝা যায় তাতে আনুমানিক ১০ হাজার হেক্টর জমি এবং লক্ষাধিক মানুষ এতে উপকৃত হবেন। মূলত বাংলাদেশের প্রত্যাহার করা পানি সিলেটের খাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রবাহিত হবে এবং বোরো ধান চাষের সঙ্গে জড়িত কৃষকরা উপকৃত হবেন। এই ধান মূলত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির শুষ্ক মৌসুমে চাষ করা হয়ে থাকে এবং গ্রীষ্মের শুরুতে কাটা হয়।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।