• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩১

কক্সবাজারে হোটেল-রেস্তোরাঁয় ৭০ শতাংশ ছাড়ের নামে প্রতারণা

  • জাতীয়       
  • ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২       
  • ৫৮
  •       
  • ২৯-০৯-২০২২, ০৮:৪৩:৫৪

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী পর্যটন মেলার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। সাত দিনব্যাপী মেলা উপলক্ষে আবাসিক হোটেলগুলোতে ২৫-৭০ শতাংশ ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি ও জেলা প্রশাসন। তবে মেলা উপলক্ষে কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোতে ছাড় না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কক্সবাজার আগত পর্যটকরা বলছেন, মেলা উপলক্ষে ৭০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা থাকলেও ১০ শতাংশও দিচ্ছে না হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। কক্সবাজার নাগরিক আন্দোলন ফোরামের সদস্য সচিব এইচ এম নজরুল ইসলাম তার ফেসবুকে লিখেছেন , কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের ১২টা বাজাচ্ছে মূলত রেস্তোরাঁগুলো। এদের কারণে পুরো পর্যটনশিল্পের দুর্নাম। তাদের গলাকাটা বাণিজ্যের কারণে প্রভাব পড়েছে পর্যটন মৌসুমেও। পর্যটন দিবস কী জানে না কাচ্চি ডাইন। খাবার হোটেলে ১৫-২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু কাচ্চি ডাইনে ১ শতাংশও ডিসকাউন্ট নেই পর্যটন দিবসে। তাহলে কোন কোন হোটেলে ডিসকাউন্ট দেবে এটি বলে দেওয়া উচিত ছিল।, প্রতারিত হচ্ছেন পর্যটকরা। এরা শুধু ব্যবসায়িক মনোভাব নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে। প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কঠোর নয় কেন?
 
কুমিল্লা থেকে আগত কাউসার আলম নামে এক পর্যটক বলেন, ভোরে কক্সবাজার পৌঁছে হোটেল খুঁজি। পর্যটক মেলা উপলক্ষে যে ডিসকাউন্ট (ছাড়) দেওয়ার কথা ছিল বাস্তবে তা নেই। অনলাইনে আগে তাদের যে রেট ছিল বর্তমানেও একই অবস্থা। এগুলো এক প্রকার পর্যটকদের সঙ্গে প্রতরণা ছাড়া আর কিছুই নয়। ঢাকা থেকে আগত সাইরিন-নোমান দম্পতি বলেন, কলাতলী রেস্তোরাঁ নামক একটি হোটেলে সকালে নাস্তা করি। আমাদের দুইজনের বিল আসে ৬০০ টাকা। একজন রেস্তোরাঁর কর্মচারী এসে একটা বিল হাতে ধরিয়ে দেয়। সেখানে ডিসকাউন্টের (ছাড়) কোনো কথা উল্লেখ ছিল না। রেস্তোরাঁর কর্মচারীকে ডেকে মেলা উপলক্ষে ছাড়ের কথা বললে উল্টো কিসের মেলা বলে হেসে ওঠেন ওই রেস্তোরাঁর কর্মচারী। এই থেকে বুঝা যায় পর্যটক দিবস উপলক্ষে ছাড়ের নামে পর্যটকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। ঢাকা থেকে সপরিবারে আগত পর্যটক জিকু বলেন, সি গাজীপুর রিসোর্ট নামে একটি হোটেলে মেলা উপলক্ষে আমাদের ৬০ শতাংশ ছাড় দিয়েছে। তবে কোনো রেস্তোরাঁয় ছাড় দিচ্ছে না। পর্যটক ফারহান-তামান্না দম্পতির কাছে পর্যটন উৎসব সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন, কোথায় মেলা হচ্ছে আমরা তা জানি না। কই কোনো খবরে কিংবা প্রথম সারির গণমাধ্যমেও বিষয়টি চোখে পড়েনি। আর কিসের ছাড়ের কথা বলছেন। কক্ষ বলেন কিংবা খাবার কোথাও তো ছাড় পাইনি আমরা।
 
তবে বিশেষ ছাড় নিয়ে কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নঈমুল হক টুটুল বলেন,  ৫০ শতাংশ পর্যন্ত যে ছাড়ের কথা প্রশাসন বলছে, তা নিয়ে মালিকদের সঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি। কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, আমরা উৎসবের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করেছি। এছাড়া আমাদের সমিতির মালিকানাধীন ননএসি রুমগুলো মেলা চলাকালে ৮০০ টাকা ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এখনো পর্যটকের তেমন সাড়া পাইনি। এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মাসুম বিল্লাহ বলেন, যে হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত তারা মূলত ডিসকাউন্ট (ছাড়) দেবে। তবে যে অভিযোগ এসেছে সেগুলো আমরা দেখছি।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।