• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:২৪

সুন্দরবন ৯ লঞ্চের কেবিনের প্রতিনিয়ত চুরি যাত্রীরা উদ্বিগ্ন

  • জাতীয়       
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২       
  • ৫৭
  •       
  • ৩০-০৯-২০২২, ০৭:০১:১৩

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ঢাকা থেকে পটুয়াখালী চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চ সুন্দরবন-৯ থেকে মো. রাহাত আহমেদ নামে এক যাত্রীর নগদ টাকা, মোবাইল ও মোটরসাইকেলের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি হয়েছে। এছাড়াও গত তিন মাস অন্য এক যাত্রীর ঢাকা থেকে আসার পথে একই লঞ্চে কেবিনের জানালার তালা ভেঙে চুরির অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে লঞ্চের ৩৪৬ নম্বর কেবিনে। আরেকটি, গত ২৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসার আগে সুন্দরবন-৯ লঞ্চের ২১৯নং কেবিনে চুরির ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, যাত্রীবাহী লঞ্চ সুন্দরবন-৯ ঢাকা থেকে উঠেন বেসরকারি কোম্পানি ইউনিলিভারের হেড  অ্যাডভার্টাইজিং অফিসার মো. রাহাত ও তার স্ত্রী মহাসীনা আকতার। রাতের খাবার শেষে কেবিনের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। বগা ঘাটে আসার পরে মো. রাহাত আহমেদ ঘুম ভেঙে গেলে নিজের মুঠোফোন খুঁজতে গিয়ে দেখেন তাদের দুজনের মোবাইল কেবিনে নেই। লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে, তাদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দেখতে পান দুটি ছেলে কেবিনের জানালা দিয়ে দরজা খুলে তাদের দুজনের মোবাইল, নগদ টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে চলে যাচ্ছে। পটুয়াখালী ঘাটের আগে বগা ঘাটে সন্দেহভাজন এই দুইজন লঞ্চ থেকে নেমেছে।
 
রাহাত আহমেদ বলেন, লঞ্চের কেবিনে আসার পরে আমরা দেখতে পাই কেবিনের সামনে দুটি ছেলে ঘোরাফেরা করছে। আর এই দুটি ছেলেই আমাদের কেবিনের জানালা দিয়ে দরজা খুলে দুটি মোবাইল নগদ ১২৮০০ টাকা ও মোটরসাইকেল এর কাগজ নিয়ে যায়। লঞ্চের কেবিনে গরম বেশি থাকায় জানালাটি খুলে রাখা হয়েছিল এজন্য তারা সুযোগটা পেয়েছে। বগা ঘাটে ফেরার পরে আমি আমার মোবাইল খোঁজ করলে দেখি কেবিনে মোবাইল ও টাকা নেই সঙ্গে সঙ্গে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেন। তিনি বলেন, লঞ্চ কর্তৃপক্ষ আমাকে জানান আমি তাদেরকে জানাতে দেরি করে ফেলেছি। ইতোমধ্যে চোর বগা ঘাটে থেকে নেমে গেছেন। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পরেও আমরা লঞ্চে আসা-যাওয়া করছি এভাবে যদি যাত্রীদের হয়রানি হয় তাহলে সামনে আরও খারাপ হবে। পটুয়াখালী শহরের কাঠপট্টি এলাকার বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সহ-সভাপতি মো. আবু নাইম জানান, গত ২৮ জুন তার স্ত্রী ইসমত আরা ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী আসার পথে সুন্দরবন-৯ লঞ্চের কেবিনে প্রবেশ করে মালামাল রাখেন। পরে কেবিনটি তালা মেরে লঞ্চের দোতলার সামনের অংশে গেলে ২০ মিনিট পর এসে দেখেন কেবিনের ভেতরে তার হাত ব্যাগ নেই।
 
পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় দুটি ছেলে কেবিনের তালা ভেঙে ব্যাগ নিয়ে গেছে। ঘটনাটি ঢাকা সদরঘাট ঘটার কারণে মামলা করলে ঢাকায় করতে হবে এজন্য আমরা মামলা করিনি। সুন্দরবন-৯ লঞ্চের কেবিন বয় মো. মাসুম জানান, এখানে যে ঘটনা ঘটেছে আসলে আমি শুনেছি সকাল বেলা। ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি যে কেবিনের মোবাইল ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে। যারা চুরি করেছে তাদেরকে আমরা চিনি না। এর আগে তাদেরকে কখনো দেখি নাই। লঞ্চে তো অনেক যাত্রী আসে আর আমাদের জানানো হয়েছে অনেক পরে। একটি ঘাট ছাড়ার পরে। এর আগের ঘটনা জানতে চাইলে তিনি জানান, তখন তিনি ছুটিতে ছিলেন। সুন্দরবন-৯ লঞ্চের সুপারভাইজার মেহেদি হাসান সুমন বলেন, চুরি হওয়ার পরে আমাদেরকে জানিয়েছে। চোরের ছবি আমাদের কাছে রাখা আছে। চোরের ছবি দেখে আমরা তদন্ত করবো। গত তিন মাস আগের ঘটনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এই কাজগুলো আমরা করি না। এগুলো বাইরের লোকেরা করে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে আপনারা দেখতে পারবেন। যারা এই চুরি কাজ করছে তাদের ধরা প্রয়োজন। তাদের ধরতে পারলে এর সঠিক বিচার করা যেত। এ বিষয়ে সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানির মালিক সাইদুর রহমান রিন্টু মিয়ার ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।