দেশকন্ঠ ডেস্ক : বাইডেন প্রশাসন এবং যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রণেতারা এই সপ্তাহে তেলের উৎপাদন কমাতে সম্মত হওয়ার জন্য তাঁদের দীর্ঘদিনের মিত্র সৌদি আরবকে কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন। ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সৌদি আরব, পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলির ১২টি সদস্য রাষ্ট্র এবং অন্যান্য ১০টি তেল-রপ্তানিকারক দেশ গত সপ্তাহে ঘোষণা করেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও প্রতিদিন তাদের তেল উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২০ লাখ ব্যারেল কমিয়ে দেবে।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মত এবং অর্থনৈতিক বিবেচনার ভিত্তিতে নেয়া হয়েছে। কংগ্রেসের কিছু সদস্য সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি সেই প্রস্তাবটি বিবেচনা করতে ইচ্ছুক যখন কংগ্রেস পরের মাসে ছুটি থেকে ফিরে আসবে। বাইডেন সংবাদদাতাদের বলেছেন, “আমরা সৌদি আরবের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে যাচ্ছি এবং তারা ফিরে এলে আমরা পরামর্শ করছি। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব”।
যুক্তরাষ্ট্রে ৮ নভেম্বর মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কমানোর জন্য সৌদি আরবকে কী পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে, তা নিয়ে কংগ্রেসনাল রিপাবলিকানরা কম সোচ্চার ছিল। কিন্তু অতীতে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অন্যান্য উদ্বেগের জন্য তারা সৌদি আরবের সমালোচনা করেছে। মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের নীতি বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান কাটুলিস ভিওএ-কে বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাস-উৎপাদনকারী রাজ্যগুলির কিছু সিনেটর দুই বছর আগে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন, যখন সৌদি আরব এবং অন্যান্য ওপেক প্লাস [দেশগুলি] কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যার ফলে তেলের দাম মারাত্মকভাবে কমে গিয়েছিল। তিনি বলেন, “আমি মনে করি, বিস্তৃত চিত্রটি হল যে দ্বিদলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে, যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্ক কোনও স্থিতিশীল ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত নয়”।
ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর রিচার্ড ব্লুমেন্থাল, বুধবার সংবাদদাতাদের বলেন, তিনি তার আইন সম্পর্কে রিপাবলিকানদের সাথে আলোচনা করছেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনের পর আইনপ্রণেতাদের ওয়াশিংটনে ফিরে আসার কথা।
সূত্র : ভিওএ
দেশকণ্ঠ/রাসু