দেশকন্ঠ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে, তারা ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা এবং গভীরতর মানবিক সংকটের মধ্যে, নিরাপত্তা সহায়তার জন্য হাইতির অনুরোধ পর্যালোচনা করে দেখছে। পশ্চিম গোলার্ধের জন্য পররাষ্ট্র দফতরের শীর্ষ কূটনীতিক, ব্রায়ান নিকলস, পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে, বুধবার ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্রটিতে যাচ্ছেন। ভারী অস্ত্রে সজ্জিত দলগুলো রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে তারা দেশটির প্রধান জ্বালানি টার্মিনালে প্রবেশ-পথে অবরোধ সৃষ্টি করেছে। এটি ইতোমধ্যেই ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটিয়েছে। এই অবস্থা বিদ্যুৎ, বিশুদ্ধ পানি, আবর্জনা সংগ্রহ এবং হাসপাতাল পরিচালনার ক্ষমতার উপর প্রতিকুল প্রভাব ফেলেছে।
অপরাধী চক্রকে থামাতে সাহায্য করার জন্য গত শুক্রবার, হাইতির সরকার প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে একটি আন্তর্জাতিক বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীকে অবিলম্বে মোতায়েনের অনুরোধ করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলি গত ২০২১ সালের ৭ জুলাই, পোর্ট-অ-প্রিন্সে নিজ বাড়িতে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার ফলে যে রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, তা কাজে লাগাতে চাইছে। মঙ্গলবার, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেছেন, "কলেরার বিস্তার রোধ করার লক্ষ্যে চিকিৎসা ও মানবিক ব্যবস্থার নিরাপত্তা সীমাবদ্ধতা অপসারণে, আমরা কীভাবে সর্বোত্তম অবদান রাখতে পারি, তা নির্ধারণ করতে " যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সমন্বয় করে, প্রধানমন্ত্রীর ৭ অক্টোবরের অনুরোধ পর্যালোচনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র হাইতিতে তাঁদের বাহিনী, সেনা কিংবা পুলিশ পাঠানোর কথা বিবেচনা করবে কিনা, তা বলতে অস্বীকার করে প্রাইস বলেছেন, “অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সরবরাহের ন্যায়সঙ্গত এবং অবিলম্বে বিতরণের পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, আমরা তাদের সকলের তীব্র নিন্দা জানাই। এটি একটি স্থিতাবস্থা, যা চলতে পারে না।”
অন্যদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস হাইতির আন্তর্জাতিক সশস্ত্র বাহিনীর আহ্বানকে সমর্থন করে, হাইতির জাতীয় পুলিশকে সহায়তা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সূত্র : ভিওএ
দেশকণ্ঠ/রাসু