তিতাস [কুমিল্লা] প্রতিনিধি : আর ২ দিন পর, আগামী ১৭ অক্টোবর কুমিল্লা জেলা পরিষদসহ দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। শেষ মুহূর্তে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রভাব বিস্তার ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে ভোট কেনাবেচারও। ফলে এই নির্বাচন কতটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে। জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। আর নির্বাচনের ভোটার স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
কুমিল্লা জেলার ২ নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিন জন। এর মধ্যে তিতাস-হোমনার স্থানীয় সাংসদের আর্শীবাদ পুষ্টু প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার এবং প্রতিপক্ষ প্রার্থীকে নানা ধরনের হুমকি-ধামকির অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে নির্বাচনের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে একাধিক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপর প্রার্থী আরিফুর রহমানও লিখিত অভিযোগে দায়ী করেছেন প্রার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, কুমিল্লা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ০২ নম্বর ওয়ার্ডের হাতি প্রতীকধারী প্রার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্ঘন করে উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছেন। ওই অনুষ্ঠানে তিতাস-হোমনার স্থানীয় এমপি সেলিমা আহম্মেদ মেরী উপস্থিত ছিলেন। এমন কী স্থানীয় এমপি দূর সম্পর্কের মামা মো. সাজ্জাদ হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিচ্ছেন এবং স্থানীয় ওয়ার্ডের ভোটারদের তার জনসভায় উপস্থিত থাকার জন্য প্রভাবিত করছেন। আবার কেউ কেউ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ভোট কেনাবেচারও অভিযোগ করছেন।
তালা প্রতীকধারী প্রার্থী মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন লিখিত অভিযোগে বলেন, স্থানীয় এমপি সেলিমা আহম্মেদ মেরীর চিন্হিত লোকজনরা তার নির্বাচনী এলাকায় প্রচার-প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করছে। মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, স্থানীয় এমপি নারান্দিয়া ইউনিয়নে সন্ত্রাসী বাহিনী পাঠিয়ে তাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করতে বলেছেন। তিনি প্রাণের ভয়ে নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারছেন না। গত ১০ অক্টোবর তিনি এই মর্মে জেলা প্রশাসক, নির্বাচন কমিশনার ও রিটানিং অফিসারের কাছে তার জীবনের নিরাপত্তা বিধানের আবেদন জানিয়েছেন। বিদ্যমান আইনে বলা আছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের কোনো সদস্য বা মন্ত্রী নিজ এলাকায় গিয়ে কোনো প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে বা নির্বাচনী কাজে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এ নির্বাচনের ভোটার যেহেতু স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগদলীয় ব্যক্তি, তাই তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে চলেছেন স্থানীয় সাংসদ। প্রার্থী মো. সাজ্জাদ হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দেশকণ্ঠ/আসো