দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই দিনব্যাপী ‘ইতেওয়ান গ্লোবাল ভিলেজ ফেস্টিভ্যাল ২০২২’-এ অংশ নিয়েছিল সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। দূতাবাস জানায়, শনি ও রোববার (১৫-১৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ‘ইতেওয়ান গ্লোবাল ভিলেজ ফেস্টিভ্যাল ২০২২’-এ সিউলসহ ইয়ংসান এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের মোট ২৬টি দূতাবাস অংশ নেয়। দূতাবাস এই আন্তর্জাতিক উৎসবের বিশ্ব সাংস্কৃতিক আয়োজন, গ্লোবাল প্যারেড ও বিশ্ব হস্তশিল্প মেলার পর্বে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। শনিবার উৎসবটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এতে দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অব ইউনিফিকেশনের মন্ত্রী কোয়ান ইয়ংসে ও ইয়ংসান এলাকার মেয়র পার্ক হি ইয়াংসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলওয়ার হোসেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই উৎসবের গ্লোবাল প্যারেড পর্বে দূতাবাসের সকল সদস্য ও প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরা বর্ণাঢ্য ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি পোশাকে সজ্জিত হয়ে দেশীয় বাদ্যযন্ত্র, ফেস্টুন ও বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে প্যারেডে অংশ নেন। এ উৎসবের বিশ্ব হস্তশিল্প মেলা পর্বে বাংলাদেশের স্টলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প সামগ্রী প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পর্যটন স্থানসমূহের ছবি সংবলিত আকর্ষণীয় ব্যানার ও পোস্টার দিয়ে স্টলটিকে সুসজ্জিত করা হয়। বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী বাংলাদেশ স্টল পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন হস্তশিল্প পণ্যের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখান। উৎসবটির ‘বিশ্ব সাংস্কৃতিক আয়োজন’পর্বে বাংলাদেশি শিল্পীদের গান ও নৃত্য পরিবেশনা উপস্থিত অতিথি ও দর্শকদের আমোদিত করে। দূতাবাস বলছে, বাংলাদেশের সক্রিয় ও বর্ণাঢ্য অংশগ্রহণ কোরিয়ান নাগরিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার সুযোগ করে দিয়েছে। এ ধরনের আয়োজনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ দ্বিপাক্ষিক সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দুদেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা যায়।
দেশকন্ঠ/অআ