• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৮

বিক্রেতা নিজেই জানেন না গরু না মহিষের মাংস

  • জাতীয়       
  • ২০ অক্টোবর, ২০২২       
  • ৭২
  •       
  • ২০-১০-২০২২, ০৯:২৮:৪৬

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : মাংস তাজা দেখাতে মেশানো হচ্ছে কাপড়ের ক্ষতিকর রং। গরুর মাংস বলে যা বিক্রি হচ্ছে তা আদৌ গরু নাকি মহিষের মাংস তা নিজেও জানেন না বিক্রেতা। কোনটি আজকের মাংস আর কোনটি গতকালের সেটিও বোঝার উপায় নেই। খাসির মাংসেও চলছে কারচুপি।  এমনই অবস্থা দেখা গেল রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজার মার্কেটে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ২০ মিনিট থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই মার্কেটে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে সমন্বিত অভিযান পরিচালিত হয়। এতে বাংলাদেশ মৎস অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও অংশ নেন। 
 
অভিযানের শুরুতেই জিয়া এন্টারপ্রাইজ নামের মাংসের দোকানে স্টিলের গামলায় ও ওয়ান টাইম কাপে লাল রংয়ের ঘন পানি দেখে চ্যালেঞ্জ করেন কর্মকর্তারা। প্রথমে দোকান মালিক জিয়া উদ্দিন গরুর রক্ত বলে দাবি করলেও পরবর্তীতে তিনি স্বীকার করেন এটি রং। মূলত মাংস চকচকে দেখাতে মেশানোর জন্যই রাখা হয়েছিল ওই রঙ। মাংসের চালানপত্রও দেখাতে পারেননি বিক্রেতা। এই দোকানে অভিযানের খবর পেয়ে মাংস ঝুলিয়ে রেখেই সরে যান পেছনের ইউসুফ খাশির মাংশ বিতানের কর্মচারীরা। এরপর একে একে মায়ের দোয়া, মমতাজ এন্টারপ্রাইজ, মো. আলাউদ্দিন স্টোর, আক্তার এন্টারপ্রাইজ, মো. আব্দুল করিম স্টোরেও অভিযান চালায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। 
 
অভিযানে যাওয়া কর্মকর্তারা বলছেন, মাছের তুলনায় মাংসের দোকানে অসঙ্গতির পরিমাণ বেশি। অভিযানে উপস্থিত জেলা মৎস কর্মকর্তা বিএম মোস্তফা কামাল বলেন, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করার কারণে মাছের বাজার ভেজালের পরিমাণ অনেকটাই কমে এসেছে। কিন্তু মাংসের দোকানগুলোতে ওজনে কারচুপি, ওজন বাড়াতে পানি মেশানো, তাজা রাখতে রঙ মেশানোসহ নানান সমস্যা সামনে এসেছে। তারা যে রঙ ব্যবহার করছে সেটি মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান বলেন, নিউমার্কেটের কাঁচা বাজারে মাংসে রঙ মেশানোর অপরাধে জিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জিয়া উদ্দিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যান্য দোকানেও আমরা অবিযান চালিয়েছি৷ যেসব ভুল ও অসঙ্গতি পাওয়া গেছে সেসব শুধরে নিতে সতর্ক করা হয়েছে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।