• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৩

ধানখেতে নিয়ে মোবাইলের আঘাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন

  • জাতীয়       
  • ২০ অক্টোবর, ২০২২       
  • ৬৪
  •       
  • ২০-১০-২০২২, ০৯:৪২:৩৮

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : স্বামীর হাতেই প্রাণ গেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার অন্তঃসত্ত্বা তাহেরা খাতুনের (২০)। ঘটনার তিন দিনেই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে নিহতের স্বামী তুষার আলীকে (২৩)। গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। গ্রেপ্তারকৃত তুষার আলী রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মির্জাপুর এলাকার নাজির উদ্দিনের ছেলে। নিহত তাহেরা খাতুন গোদাগাড়ীর রাজরামপুর চাতরা গ্রামের দানেস আলীর মেয়ে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত মাস আগে তুষার আলীর সঙ্গে তাহেরার বিয়ে হয়। তাহেরা মানসিকভাবে অনেকটা ভারসাম্যহীন ছিলেন। প্রায়ই তিনি পাগলামি করতেন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতেন তিনি। আর ঢাকায় নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন তুষার। গত ১২ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তাহেরা। তবে এ নিয়ে থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরি করেনি পরিবার। ১৫ অক্টোবর দুপুরের দিকে উপজেলার গড়গড়িয়া এলাকার একটি ধানখেত থেকে তাহেরার গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ১৮ অক্টোবর তার স্বামী তুষার আলীকে গ্রেপ্তার করে গোদাগাড়ী মডেল থানা পুলিশ। 
 
জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, মাঝে মধ্যে পাগলামি করতেন তাহেরা। এ কারণে স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন তুষার। ১২ অক্টোবর বিকেলে স্ত্রীকে কাঁকনহাটে ডেকে নেন তুষার। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্ত্রীকে বাবার বাড়িতে রাখতে যাওয়ার নাম করে ধানখেতের ভেতরের রাস্তার মধ্য দিয়ে রওনা হন। নির্জন জায়গায় পৌঁছালে হাতে থাকা বাটন মোবাইল ফোন দিয়ে স্ত্রীর মাথায় সজোরে আঘাত করেন তুষার। তাতে প্রাণ হারান তাহেরা। এরপর মরদেহ ধানখেতে ফেলে তুষার পালিয়ে যান। তুষার স্বীকার করেন, ঢাকায় কাজে যাওয়ার নাম করে ঘটনার আট দিন আগে স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসেন। কিন্তু তিনি ঢাকায় যাননি। স্বজনরাও জানতেন না বিষয়টি। এদিকে তাহেরার মরদেহ উদ্ধারের দুই ঘণ্টার মধ্যেই শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন তুষার। তার অসংলগ্ন কথাবার্তা এবং দ্রুত এলাকায় ফেরা নিয়ে সন্দেহ হয় গোয়েন্দাদের। এরপর তদন্তে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। গ্রেপ্তার করা হয় তুষারকে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সবকিছু জানান তিনি। 
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।