• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৮

যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে দিলেন স্বামী

  • জাতীয়       
  • ২১ অক্টোবর, ২০২২       
  • ৮৩
  •       
  • ২১-১০-২০২২, ০৮:২৮:৪৯

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে মো. সোহাগ (২২) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বীকারোক্তি ও অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগ সদর উপজেলা ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউভূতি গ্রামের সফিক উল্যার ছেলে। তিনি কমলনগর থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
 
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, প্রায় ৫ মাস আগে সোহাগের সঙ্গে কমলনগরের চরকালকিনি ইউনিয়নের মতিরহাট এলাকার তাজুল ইসলামের মেয়ে রিনা আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এতে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দেওয়ার কথা থাকলেও ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকার জন্য সোহাগ তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় চাপ প্রয়োগ করে। এর মধ্যেই বিয়ের দুই মাস অতিবাহিত হয়। পরে বেড়ানোর কথা বলে সোহাগ রিনাকে ঢাকা নিয়ে যায়। সেখানে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ড্রামে করে চোরাই পথে রিনাকে ভারতের কলকাতার কাছাকাছি স্থানে সোহাগ তার বোনের কাছে নিয়ে যায়। পরে সোহাগ দেশে চলে এলেও রিনাকে রেখে আসে। 
 
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে রিনার খোঁজ না পেয়ে পরিবারের লোকজন সোহাগকে চাপ প্রয়োগ করে। সোহাগ জানায়, রিনা তার বোনের কাছে ঢাকায় আছে। কিন্তু যোগাযোগের জন্য ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর চাওয়া হলেও সোহাগ তা দিচ্ছিল না। ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় গত ১০ অক্টোবর রিনার ভাই মো. জাহাঙ্গীর কমলনগরের হাজিরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সোহের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেয়। পরে পুলিশ সোহাগকে চাপ দেয় রিনাকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য। নিরুপায় হয়ে এক সপ্তাহ আগে রিনাকে অচেতন করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। স্বাভাবিক হয়ে রিনা বুঝতে পারে তিনি স্বামীর বাড়িতে আছেন। স্বামীর বাড়ি থেকে গোপনে তিনি বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরে পরিবারের লোকজনকে রিনা সবকিছু বলে। রিনাকে কলকাতার পতিতালয়ে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিল।
 
পুলিশ জানায়, যৌতুকের বাকি টাকা দেবে বললে লোভে পড়ে সোহাগ বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাতে শ্বশুর বাড়িতে আসে। সেখানে তাকে আটকে রেখে শ্বশুর বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ভুক্তভোগী রিনা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, আমাকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ভারতে সহিদা নামে একজনের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সহিদা নাকি সোহাগের বোন হয়। সেখানে ৩ মাস আমাকে অনেক অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের কথা না শুনলেই আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। আমি সোহাগ ও তার বোন সাহিদার বিচার চাই।
 
এ ব্যাপারে কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, অভিযোগে ভিত্তিতে সোহাগকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনার সত্যতা এখনও উদঘাটন সম্ভব হয়নি। সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিনসহ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।