• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৩:২৬

মুন্সীগঞ্জে সিত্রাংয়ের প্রভাবে ৭৫০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত

  • জাতীয়       
  • ২৬ অক্টোবর, ২০২২       
  • ৫১
  •       
  • ২৬-১০-২০২২, ০৯:২০:১৩

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : মুন্সীগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ৭৫০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। জানা গেছে, মুন্সীগঞ্জে ইতোমধ্যে শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়েছে। কিন্তু সবজি ক্ষেতগুলো ঝড়-বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রভাবে জেলার অনেক ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। আগাম চাষ করা সবজি ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় কৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ, টঙ্গিবাড়ী ও সিরাজদিখান উপজেলায় এবার সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩৮৭ হেক্টর জমিতে আগাম সবজির চাষ হয়েছে। এসব সবজির মধ্যে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ও শালগম প্রধান। সোমবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ১৯০ হেক্টর জমির সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ২৬০ হেক্টর রোপা আমন, এক হেক্টর করে মরিচ, খেসারি, কলাইয়ের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
 
সদর উপজেলার রতনপুর এলাকার কৃষক মো. আবুল কাশেম বলেন, আমি ১০ শতাংশ জমিতে ফুলকপি, পালং শাক, লাল শাক, মুলা শাক ও ধনেপাতা চাষ করেছি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে আমার জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। চাষ করা শাক-সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। চাঁপাতলা এলাকার নাসির বলেন, আমার চাচা আনিস শেখ ৮৫ শতাংশ জমিতে লাল শাক, ডাটা, ফুলকপির আবাদ করেছেন। এতে তার প্রায় ৮০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সব ফসল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে। একই এলাকার কৃষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমি ২৯ শতাংশ জমিতে আগাম ফুলকপি, মিষ্টি কুমড়া, লালশাক আবাদ করেছিলাম। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে জমিতে হাঁটু পানি জমেছে। এতে আমার কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।
 
উত্তর মহাখালী এলাকার কৃষক মো. শাহ আলম বলেন, ধার-দেনা করে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ৬০ শতাংশ জমিতে লালশাক, বাঁধাকপি, ডাটা শাক আবাদ করেছি। ঝড়-বৃষ্টিতে জমিতে হাঁটু সমান পানি জমেছে। এতে করে জমির সব সবজি নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি বলেন, নতুন করে সবজি আবাদ করবো সেই সামর্থ্য নেই। মনির রাঢ়ী নামে এক কৃষক বলেন, ১০ একর জমিতে ৫ লাখ টাকা খরচ করে সবজি আবাদ করেছিলাম। বৃষ্টির পানিতে সব শেষ হয়ে গেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খুরশিদ আলম বলেন, সবজির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগবে। সপ্তাহখানেক পর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জন্য সহযোগিতা চাওয়া হবে। সহযোগিতা আসলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।