দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়ায় ভয়াবহ গাড়িবোমা হামলায় কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩০০ জন। শনিবার (২৯ অক্টোবর) পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটির রাজধানী মোগাদিশুর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে দু’টি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। এদিকে এক বিবৃতিতে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে হতাহতের এই সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। রোববার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোগাদিশুর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাইরে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন শেষে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ বলেন, ‘আমাদের মানুষ গণহত্যার শিকার হয়েছে... তাদের মধ্যে অনেক মা রয়েছেন যারা তাদের সন্তানদের কোলে নিয়ে ছিলেন। এছাড়া অনেক বাবা, পড়াশোনা করতে পাঠানো হয়েছিল এমন অনেক শিক্ষার্থী এবং নিজেদের পরিবারের জীবন নিয়ে সংগ্রাম করছেন এমন অনেক ব্যবসায়ীও রয়েছেন।’
রয়টার্স বলছে, শনিবারের ওই বিস্ফোরণের ঘটনার পর কেউই তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি। যদিও এই ঘটনার পেছনে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট জঙ্গিগোষ্ঠী আল শাবাবকে দায়ী করেছেন। সাধারণত যেসব হামলায় বিপুল সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটে সেসব ঘটনায় দায় স্বীকার করা এড়িয়ে যায় আল শাবাব। বার্তাসংস্থাটি বলছে, শনিবার মোগাদিশুর সড়কে একটি ব্যস্ত মোড়ের কাছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রথম বিস্ফোরণটি আঘাত হানে। এই বিস্ফোরণের পর অ্যাম্বুলেন্স এবং লোকেরা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য ঘটনাস্থলে জড়ো হলে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ২০১৭ সালের একই মাসে সোমালিয়ার এই স্থানেই সবচেয়ে বড় বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ভয়াবহ সেই হামলায় ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। সেসময় মোগাদিশুর কে৫ মোড়ে একটি ব্যস্ত হোটেলের বাইরে ট্রাক বোমা বিস্ফোরিত হয়। ওই সড়কেই সরকারি বিভিন্ন অফিসের সঙ্গে সারিবদ্ধভাবে রেস্টুরেন্ট এবং কিয়স্ক অবস্থিত। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মোহামুদ বলেছেন, তিনি আহতদের জরুরিভাবে চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
দেশকন্ঠ/অআ