• সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:২৫

ড্যাপ কার্যনির্বাহী কমিটির যাত্রা শুরু

  • জাতীয়       
  • ২৪ নভেম্বর, ২০২২       
  • ৪৯
  •       
  • ২৪-১১-২০২২, ০৯:১২:০৭

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) (২০২২-২০৩৫) সুষ্ঠু বাস্তবায়নের স্বার্থে রাজউক অধিভুক্ত এলাকার বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে ড্যাপ কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাজউক কার্যালয়ে চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে সভায় নতুন ড্যাপে প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রস্তাবনা ও অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পের উপর উপস্থাপনা করেন ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক ও ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব মো. আশরাফুল ইসলাম। সভায় আলোচকরা ড্যাপ অনুযায়ী স্ব-স্ব সংস্থার দায়িত্বভুক্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গ্রহণে একমত প্রকাশ করেন এবং আগামী তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা রাজউকে প্রেরণের জন্য প্রতিশ্রুতি দেন।
 
ড্যাপ প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) অনুসারে রাজউক ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এমআরটি করিডোর বরাবর স্টেশনকেন্দ্রিক ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত পলিসি ও গাইডলাইন প্রস্তুতকরণের জন্য রাজউক একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। রাজউক অনুমোদিত আবাসন প্রকল্পের অন্তত একটি প্রধান সড়ককে আরবান লাইফ লাইন অর্থাৎ পর্যাপ্ত গাছপালা, স্ট্রিট ফার্নিচার, দৃষ্টিনন্দন ও কার্যকরী আরবান ডিজাইনের মাধ্যমে নিরাপদ, উপভোগ্য, পথচারীবান্ধব ও সাইকেলবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজউক ও সংশ্লিষ্ট আবাসন কোম্পানিসমূহের মধ্যে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প, উত্তরা (৩য় পর্ব) প্রকল্পসহ ড্যাপে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের জন্য ৪টি সাইটের সাশ্রয়ী আবাসন প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তি জমিতে সাশ্রয়ী আবাসনকে উৎসাহিতকরণের জন্য ড্যাপ (২০২২-২০৩৫) এর আলোকে ভবনের নকশায় ৪০০-৬০০ বর্গফুটের কমপক্ষে ৫টি সাশ্রয়ী ইউনিট থাকলে পরিকল্পনা অনুমোদনপত্রে ০.৭৫ পর্যন্ত এফএআর প্রণোদনা প্রদানের কার্যক্রম চলমান আছে।
 
তিনি আরও বলেন, হাজারীবাগ পুরাতন ট্যানারি এলাকাসহ পুরাতন ঢাকার ৭টি স্থানে ড্যাপের রূপরেখা অনুসারে নগর পুনঃউন্নয়নের লক্ষ্যে রাজউকে ঢাকা আরবান রিজেনারেশন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শিগগিরই ভূমি পুনর্বিন্যাসকরণ ও উন্নয়ন-স্বত্ব বিনিময় ট্রান্সফার অব ডেভেলপমেন্ট রাইটসের বিস্তারিত নীতিমালা ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। জানা গেছে, রাজউক কর্তৃক কেরানীগঞ্জে একটি আঞ্চলিক পার্ক ও কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর শেখ রাসেল পার্ক, সাভার ও গাজীপুরে আরও দুইটি আঞ্চলিক পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ঢাকার আশে পাশে নদীসমূহ সংস্কার ও সচলকরণের লক্ষ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিইটিএ-কে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সভায় ড্যাপে নির্দেশিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সকল সংস্থাকে প্রকল্প গ্রহণের জন্য বলা হয়।
 
সভায় জানানো হয়, ড্যাপের এলাইনমেন্ট অনুসারে আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল উদ্ধারের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের নেতৃত্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ও অন্যান্য খালসমূহ সংস্কারকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকার যানজট নিরসনে ড্যাপ ও রিভাইজড স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানে চিহ্নিত ইনার ও মিডল রিং রোড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ সমন্বয়কের ভূমিকায় কাজ করছে। ড্যাপ সূত্রে জানা গেছে, ড্যাপ ও ওয়াসার মাস্টার প্ল্যান অনুসারে বিভিন্ন স্থানে পানি শোধনাগার স্থাপনসহ ওয়াসা অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ড্যাপের ৭৫টি উপ-অঞ্চলে ২০৩৫ সনের মধ্যে ৬২৭ টি স্কুল, ২৮৭ টি হাসপাতাল, ৫ টি আঞ্চলিক পার্ক, ২০ টি জলকেন্দ্রিক পার্ক, ৩টি ইকোপার্ক, ২৩ টি খাল, ৫০০ টি পুকুর, ১৩৯ কিমি সড়ক পথ, ৪০০ কিমি জলপথ, ৫০০ কিমি সাইকেল লেন, ১০০০ কিমি পথচারীদের জন্য হাটার পথ প্রভৃতি প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
 
সভায়‍ প্রথম পর্যায়ে ১০০টি স্কুল বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর পত্র প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সকল নাগরিক সুবিধাদির বাস্তবায়ন হলে ২০৪১ সনের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা মহানগরী বিনির্মাণ সম্ভব হবে বলে সভায় বক্তারা আশা প্রকাশ করেন। এজন্য প্রতিটি উপ-অঞ্চলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, জনসাধারণসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিস্তারিত লোকাল এরিয়া প্ল্যান প্রণয়নের মাধ্যমে এ সকল নাগরিক সুবিধাদির স্থান ও পরিসর নির্দিষ্টকরণ এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থাকে দায়িত্ব বিন্যাস বা কর্ম বণ্টন করে দেওয়ার কথা জানানো হয় সভায়।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।